বিবস্ত্র করে ছবি তুলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা, এক অধ্যাপকের ঘরে আশ্রয় নেন বারাণসীর আইআইটি ছাত্রী

শ্লীলতাহানি, জোর করে চুম্বন এবং ছবি তোলা হয়েছিল তাঁর। তার পর তাঁকে ছেড়েও দিয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের গাড়ি ঘোরানোর আওয়াজ পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আবার কি হেনস্থার শিকার হতে হবে তাঁদের হাতে? সেই ভয়েই সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন এক অধ্যাপকের বাড়িতে।

পুলিশ সূত্রে খবর, দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়েই অধ্যাপক বেরিয়ে আসেন। তাঁকে সব ঘটনা জানান ছাত্রী। এবং সাহায্যও চান। ছাত্রীকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন অধ্যাপক। প্রায় ২০ মিনিট সেখানে লুকিয়েছিলেন ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কমিটিকে বিষয়টি জানান অধ্যাপক। এর পরই অধ্যাপকের বাড়িতে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএইচইউ সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর থেকেই হস্টেলে নিজেকে বন্দি রেখেছেন ছাত্রী। কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সেই ঘটনার পর থেকে।

বুধবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে হস্টেল থেকে বেরিয়ে ছিলেন আইআইটি-বিএইচইউ-এর ওই ছাত্রী। তখনই তাঁদের ঘিরে ধরেন বাইকআরোহী তিন যুবক। অভিযোগ, সঙ্গীকে মারধর করে ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যান তাঁরা। তার পর তাঁকে বিবস্ত্র করে ছবি তোলা হয়। জোর করে চুম্বনও করা হয় বলে অভিযোগ। ১৫ মিনিট পর ছাত্রীকে ছেড়ে দেন অভিযুক্তরা। অভিযোগপত্রে এমনই দাবি করেছেন ছাত্রী। কাছেই বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন অভিযুক্তরা। আবার বাইক ঘোরাতে দেখেই ছাত্রী আতঙ্কিত হয় পড়েন। ছুটতে শুরু করেন তিনি। আবার হেনস্থার ভয়ে এক অধ্যাপকের বাড়িতে গিয়ে সাহায্যের জন্য কড়া নাড়েন। অধ্যাপক তাঁকে ঘরে ডেকে নেন। আশ্রয় দেন। অভিযুক্তরা চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।

ওই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বর জুড়ে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.