ব্যক্তিগত জীবনে প্রবল ঝড় উঠলে, তার প্রভাব কাজের জায়গাতেও ভীষণ ভাবে পড়ে। এমন বিধ্বস্ত মানুষের সংখ্য়া হয়তো হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। তবে একটা মানুষ, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, জীবনে সুনামি আছড়ে পড়ার পরেও, কীভাবে লক্ষ্য স্থির রেখে, নিজের পেশায় একজন সুপার পারফর্মার হওয়া যায়। তিনি আর কেউ নন, ভারতীয় দলের তারকা পেসার-মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। আরবসাগরের তীরে শামি-সুনামি আছড়ে পড়ল বৃহস্পতিবার। আর তাতেই খড়কুটোর মতো উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ৩০২ রানে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে প্রথম দেশ হিসেবে চলে গেল বিশ্বকাপের শেষ চারে। আর এই জয়ে বিরাট অবদান রাখলেন বাংলার হয়ে খেলা উত্তরপ্রদেশের বছর তেত্রিশের পেসার। শামি পাঁচ ওভার বল করে ১৮ রানে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। চলতি কাপযুদ্ধে মাত্র তিন ম্য়াচ খেলে ১৪ উইকেট পাওয়া হয়ে গেল শামির। আর এদিনের পারফরম্যান্সের সুবাদেই ইতিহাস লিখে ফেলেলেন জাতীয় দলের মহাতারকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়া ভারতীয় বোলার হয়ে গেলেন তিনি। শামি (১৪ ম্য়াচে ৪৫ উইকেট) পিছনে ফেলে দিলেন জাহির খান (২৩ ম্য়াচে ৪৪ উইকেট), জাভাগল শ্রীনাথ (৩৪ ম্যাচে ৪৪ উইকেট), জসপ্রীত বুমরা (১৬ ম্য়াচে ৩৩ উইকেট) ও অনিল কুম্বলকে (১৮ ম্য়াচে ৩১ উইকেট) ও কপিল দেবকে (২৬ ম্য়াচে ২৮ উইকেট)।
ম্য়াচের সেরা হয়ে এদিন শামি বললেন, ‘আমি প্রথমেই ধন্য়বাদ জানাব আল্লাহকে। কঠোর পরিশ্রম করেই আমরা ছন্দ পেয়েছি। এই কারণেই সকলে মাঠে আমাদের ঝড় দেখছে। আমাদের বোলাররা অবিশ্বাস্য ভালো খেলছে। আমাদের বোলারদের এই ছন্দ সকলেই উপভোগ করবে। আমরা প্রচুর উপভোগ করছি। একসঙ্গে সবাই কাজ করছি। তারই ফল দেখতে পারছেন আপনারা।’ শামি যে ঠিক কোন মানের বোলার, তা আবারও তিনি বুঝিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে।