দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে পার্বত্য দুই জেলা বাদে খটখটে শুকনো এবং শুষ্ক আবহাওয়া।
দক্ষিণবঙ্গ
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলায় আংশিক বা সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। বঙ্গোপসাগরের বিপরীত ঘূর্ণাবর্তে প্রচুর জলীয় বাষ্প দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করায় ৩ ও ৪ নভেম্বর উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব ফিকে। পূবালী বাতাসের প্রভাব বিস্তার। ৬ নভেম্বর থেকে ফের হাওয়া বদল। কমবে জলীয় বাষ্প। নামবে তাপমাত্রা। অনুভূত হবে শুষ্ক শীতের আমেজ।
উত্তরবঙ্গ
দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে বাকি তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে শুষ্ক এবং মনোরম আবহাওয়া। তবে দিন বা রাতের তাপমাত্রায় কোনও উল্লেখযোগ্য উত্থানপতন নেই।
কলকাতা
আংশিক বা মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। দিনের বিভিন্ন সময়ে জলীয় বাষ্প পূর্ণ পূবালী বাতাস কিছুটা আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি দেবে। হালকা দু-এক পশলা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা।
পরিসংখ্যান
মঙ্গলবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় আড়াই ডিগ্রি। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা বেড়ে ৩২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তা আরও বেড়ে হয় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ের স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। ৬ নভেম্বরের পর আবার নামবে তাপমাত্রা। স্বাভাবিক হবে তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের ন্যূনতম পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। ফলে শীতের আমেজ উধাও। রাতে বা ভোরে আগামী ৭২ ঘণ্টা শীতের আমেজ অনুভূত হবে না।
তুষারপাত
চলতি উইকএন্ডে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ এবং মুজফফরাবাদে তুষারপাতের সম্ভাবনা আছে।
দেশের বাকি রাজ্য
দক্ষিণ ভারতের কেরল, মাহে, তামিলনাড়ুর করাইকাল এবং পুদুচেরীতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।