সাল ২০১১। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ের সেই ম্যাচ ভুলে যেতে চাইবেন কুমার সঙ্গকারারা। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মারা বিশ্বকাপ জেতানো শেষ ছক্কা যেখানে পড়েছিল, সেই চেয়ার দু’টি এ বারে আলাদা করে রাখা। নিলাম হয়েছে সেই দু’টি চেয়ারের টিকিট। সেই চেয়ার বার বার নজরে আসবে এ বারের শ্রীলঙ্কা দলের কুশল মেন্ডিসদের।
সাল ২০২৩। শ্রীলঙ্কা ক্রমশ সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। ভারত আবার এই ম্যাচ জিতলে সকলের আগে সেমিফাইনালে নিজেদের পাকা করে ফেলবে। অনেকটাই তফাত ১২ বছর আগের শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে এখনকার মেন্ডিসদের। তবু ওয়াংখেড়ের মাঠে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতিকে একটু উসকে দেওয়া।
২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এই প্রথম ভারত এবং শ্রীলঙ্কা ওয়াংখেড়ের মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুই দল নামবে দু’টি আলাদা লক্ষ্য নিয়ে। ভারত চাইবে সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করতে। শ্রীলঙ্কা চাইবে এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে। ধারে ভারে দুই দলের মধ্যে ব্যবধানও অনেক। ভারত প্রতিযোগিতা শুরুই করেছিল ফেভারিট হিসাবে। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে আসতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচ খেলে তারা পেয়েছে মাত্র ৪ পয়েন্ট। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। আর ভারত খেলতে নামবে টানা সাত ম্যাচ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচেও নেই হার্দিক পাণ্ড্য। তাতে যদিও ভারতের খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মহম্মদ শামি শেষ দু’টি ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন। সঙ্গে যশপ্রীত বুমরাও ফর্মে রয়েছেন। এমন অবস্থায় পেস বিভাগ নিয়ে ভাবতে বসতে হবে না রোহিত শর্মাকে। ব্যাট হাতে তিনি নিজে ফর্মে রয়েছেন। সেই সঙ্গে রান করছেন বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুলও। শেষ ম্যাচে ভাল খেলেছেন সূর্যকুমার যাদব। এমন অবস্থায় হার্দিকের অভাব রোহিত খুব বেশি বোধ করবেন বলে মনে হচ্ছে না।
চোটের সংখ্যা শ্রীলঙ্কা দলে অনেক বেশি। দলের অধিনায়ক দাসুন শনাকাই বিশ্বকাপের মাঝে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় কুশল মেন্ডিস নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই ম্যাচে নেই লাহিরু কুমারা। শ্রীলঙ্কা দলের এমনই অবস্থা যে বিশ্বকাপের দলে না থাকা আঞ্জেলো ম্যাথুজ়কে দলে যুক্ত করা হয়েছে। ৩৬ বছরের যদিও সুযোগ পেয়েই কাজে লাগাতে শুরু করেছেন। গত ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে শ্রীলঙ্কার।
এই বিশ্বকাপে ভারত যে ফর্মে রয়েছে তাতে শ্রীলঙ্কাকে বৃহস্পতিবার উড়িয়ে দেওয়া উচিত। ১২ বছরের আগের ফলই আরও এক বার হতে পারে বলে মনে করছেন সমর্থকেরা। ভারতীয় সমর্থকেরা অপেক্ষায় বিরাট কোহলির ৪৯তম এক দিনের শতরানের। সচিন তেন্ডুলকরের ঘরের মাঠেই যদি তাঁকে ছুঁয়ে ফেলেন বিরাট, তাতে অবাক হওয়ার থাকবে না।