পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের কাজ। যদিও প্রথম দিন ঘুরপথে গাড়ি চালানো হচ্ছে না। কলকাতা থেকে সরাসরি দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে উঠতে পারছে ভারি এবং মাঝারি পণ্যবাহী ট্রাক, গাড়ি, কন্টেনার। ফলে সেতু সংস্কারের প্রথম দিন অন্তত ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে না কাউকেই।
প্রশাসন জানিয়েছিল, সেতু সংস্কারের কারণে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে ওই এলাকায়। কলকাতা শহরে ঢোকা এবং বেরোনোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হল দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই সেতুতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হলে অন্য রুট দিয়ে পাঠাতে হবে ভারি পণ্যবাহী ট্রাক, লরি এবং কন্টেনার। কোন ভারী গাড়ি কোন পথ দিয়ে শহর থেকে বেরবে, তা নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। যদিও সংস্কারের প্রথম দিন ‘ট্রাফিক ডাইভারশন’ ছিল না কোথাও। ফলে আপাতত স্বাভাবিক গতিতেই সেতু এবং সংলগ্ন এলাকা পেরোচ্ছে যানবাহন।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ছয় লেনের রাস্তার মধ্যে দু’টি লেন দিয়ে চলাচল করবে ছোট গাড়ি। বড় গাড়ি এবং লরি চলবে ঘুরপথে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ভিআইপি রোড, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিটি রোড দিয়ে ঘোরানো হবে বড় গাড়ি। ভারি এবং পণ্যবাহী ট্রাক বা গাড়ি, যেগুলি কলকাতা শহর থেকে বিদ্যাসাগর সেতু ধরতে চায়, তাদেরও ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হবে নিবেদিতা সেতুতে।
ডিএল খান রোড থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়ি হসপিটাল রোড, কেপি রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড হয়ে এসপ্ল্যানেড ক্রসিং, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে নিবেদিতা সেতুতে পাঠানো হবে। এক্সাইড ক্রসিং থেকে এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারী এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়ি চৌরঙ্গি, ডোরিনা ক্রসিং, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, টালা ব্রিজ, ডানলপ ক্রসিং হয়ে নিবেদিতা সেতুতে পৌঁছবে।
একই ভাবে কলকাতা বন্দরের দিক থেকে আসা ভারী এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর বদলে নিবেদিতা সেতু দিয়ে পার করানো হবে। বন্দরের বেশ কিছু বড় গাড়ি যদিও দ্বিতীয় হুগলি সেতু পেরিয়েই যাতায়াত করবে। সে জন্য রাত ১২টার পর সময় ধার্য করা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় এবং ভারি গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে ঘুরপথে নিবেদিতা সেতু ধরবে। বুধবার সকালে স্বাভাবিক ছন্দে যান চললেও শীঘ্রই যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে খবর।