রাজ্যের মন্ত্রীদের পরপর জেল যাত্রার কারণে যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় তাহলে কেন্দ্র সরকার অবশ্যই হস্তক্ষেপ করবে। রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তার এই ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তাঁর দাবি, শিক্ষা, খাদ্যের পর এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রীর জেলে যাওয়ার পালা। কারণ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা তো কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করবোই, কিন্তু যে পরিস্থিতির দিকে বাংলা যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলার সরকার কোথা থেকে চলবে এটা সব থেকে বড় প্রশ্ন। জেলের ভিতর থেকে না জেলের বাইরে থেকে? কালীঘাট থেকে চলবে না তিহার জেল থেকে চলবে, নাকি প্রেসিডেন্সি থেকে চলবে? সেটা আগামী দিনে বাংলার মানুষ দেখবে।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাংলা যদি সাংবিধানিক সংকটের সম্মুখীন হয় তাহলে কেন্দ্র অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে। তখন তো কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো জায়গা বাকি থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, “তৃণমূল নিজেদের দুর্নীতি থেকে চোখ সরাতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করছে। আমরা আগামী মাসে কয়েক লক্ষ বঞ্চিত সাধারণ মানুষ যারা কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার সুযোগ পায়নি কাটমানি না দিতে পেরে তাদের একত্রিত করে সমাবেশ করব।”
তবে, সুকান্তবাবুর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এর থেকে স্পষ্ট যে ইডি, সিবিআই ব্যবহার করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চাইছে বিজেপি। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতার স্বাদ পেতে চাইছে তারা।