রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি চিঠিতে। রাজ্যে প্রতিটি হাসপাতালে দালালরাজ চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায় দুর্নীতির আঁতুর ঘর হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলি। এইসব অভিযোগ তুলে তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন।
সুকান্ত বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা। প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজে দালাল রাজ চলছে। এইসব নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল।
আরজিকর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ, তবু তাকে সেখানেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একাধিক মেডিকেল কলেজ অভিভাবকহীন হয়ে রয়েছে। আগামী দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ওই দুর্নীতির কারণে জেলে যেতে পারেন।”
সুকান্ত জানান, “আমি সব অভিযোগ ও তথ্য জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যাতে শেষ না হয়ে যায়, সেই বিষয়টি যেনো রাজ্যপাল দেখেন।”
শুধু রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েই বিজেপি নেতা সরব হননি। তাঁর দাবি, আবারও কয়লা পাচারের রমরমা বেড়েছে আসানসোলে। রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণায় প্রশাসনিক একাধিক মাথাদের মদতে এই পাচার কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, আগামী দিনে তৃণমূলের ক্যাবিনেট মিটিং হয়তো হবে জেলে। সেটা তিহারে হয়, নাকি প্রেসিডেন্সিতে সেটাই দেখার। পুরো দুর্নীতিতে মন্ত্রীরা যুক্ত বলে তিনি দাবি করে বলেন, যে মন্ত্রীরা বড় বড় পুজো করে তারা নিজের শ্যালক সহ পরিবারের লোকেদের চাকরি দিয়েছে।
বাংলার সার্বিক দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানাবেন তিনি। সুকান্তর কটাক্ষ, আগামী দিনে বাংলার সরকার কোথা থেকে চলবে সেটাই প্রশ্ন। এইভাবে যদি প্রশাসনিক কোনো সংকট দেখা দেয় তাহলে কেন্দ্র নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করবে। আমরা অবশ্যই সব তথ্য জানাবো।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লটারি যোগ নিয়ে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত বলেন, বাংলা এখন কামিনী কাঞ্চনে মত্ত। বাংলার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা মানুষকে ঠকিয়ে মানুষের টাকায় এগুলোই করছে।