অস্বাভাবিক দেরি করেছিল ট্রেন। এনিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন এক যাত্রী। সেই মামলায় রেলকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করল কেরালার এক ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। আলেপ্পি-চেন্নাই এক্সপ্রেস প্রায় ১৩ ঘণ্টা লেট করার জন্য এক যাত্রী তাঁর অফিসের এক গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। তার ফলে তার চাকরি চলে যায়।
এরনাকুমাল জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত নির্দেশ দিয়েছে ওই ট্রেন লেটের জন্য রেলকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। পাশাপাশি যাত্রীর মামলার খরচের জন্য দিতে হবে ১০ হাজার টাকা। একমাসের মধ্যে রেলেকে ওই টাকা মিটিয়ে দিতে হবে কার্তিক মোহানান নামে ওই যাত্রীকে। একসময় তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার ডেপুটি ম্যানেজার পদে ছিলেন। ট্রেন লেটের জন্য তার চাকরি চলে য়ায়।
২০১৮ সালের ৬ মে-র ঘটনা। পরদিন তাঁর কোম্পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল মোহনানের। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে তিনি জানতে পারেন আলেপ্পি-চেন্নাই এক্সপ্রেস ১৩ ঘণ্টা লেটে চলছে। আগে থেকে কোনও খবরও দেওয়া হয়নি। ওই বিপুল দেরির জন্য তিনি পরদিন কোম্পানির মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেননি। ওই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন বেশ কয়েকজন নিট পরীক্ষার্থী। তারাও প্রবল বিপাকে পড়ে যান। রেলের যুক্তি ছিল রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার দরুন লেটে চলেছিল ট্রেন। ওই মামলায় রেলের যুক্তি নাকচ করে দেয় আদালত।
আদালতের তরফে বলা হয়, যাত্রীদের সময়ের দামও গুরুত্বপূর্ণ। ওই দেরির জন্য যাত্রীরা প্রবল অসুবিধেয় পড়েন বিশেষ করে অভিযোগকারী যাত্রী। তার টাকার ক্ষতি হয়েছ, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগেছেন তিনি, তাঁর কাজের জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। তাই এর জন্য রেলকে জরিমানা দিতে হবে।