রবিবার সকালে কেরালার কালামাসেরিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত এবং ৩৫ জনের বেশি আহত হয়েছে, পুলিস জানিয়েছে।
কালামাসেরি পুলিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিস্ফোরণের কারণ বা একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে বিস্ফোরণটি ঘটে বলে জানা গেছে।
পুলিস জানায়, সকাল ৯টা নাগাদ বিস্ফোরণের বিষয়ে একটি ফোন আসে এবং পুলিসের সহায়তা চাওয়া হয়। ঘটনার ভিজ্যুয়ালে দমকলের উদ্ধার কাজ এবং পুলিস কর্মীদের বিপুল সংখ্যক মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে।
তারা এখনও বিস্ফোরণের কারণ শনাক্ত করতে পারেনি বলে উল্লেখ করে, শিল্পমন্ত্রী এবং কালামাসেরির বিধায়ক, পি রাজীব বলেছেন, ‘আমি সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আমরা এখনও কারণ চিহ্নিত করতে পারিনি। সমস্ত পরিদর্শন করা হবে। এখন থেকে কাউকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে দেওয়া হবে না’।
কনভেনশন সেন্টারের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণের দৃশ্যগুলিতে হলের ভিতরে একাধিক আগুন দেখা গিয়েছে। বিস্ফোরণের পরে কনভেনশন সেন্টারের বাইরে শত শত মানুষকে দেখা গিয়েছে।
কেরালায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেরালা পুলিস বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। পাবলিক ইভেন্টের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন এবং দলীয় কর্মসূচিতেও সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যের পুলিস প্রধান দুই এডিজিপিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন। আইন-শৃঙ্খলা ADGP এবং গোয়েন্দা প্রধান তিরুবনন্তপুরম থেকে কোচিতে পৌঁছেছেন। নাশকতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। পুলিস ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। কালামাসেরিতে কোচির আরও পুলিশ অফিসার পৌঁছেছেন। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর আধিকারিকরা এবং এনআইএ আধিকারিকরা কালামাসেরিতে পৌঁছেছেন।
কেলারার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়ে ডিজিপিকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাবেন। একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘দুজনের অবস্থা গুরুতর। সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। মন্ত্রী ভিএন ভাসাভান, বীণা জর্জ এবং পি রাজীব কালামাসেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সঙ্গে রয়েছেন বিধায়ক আনোয়ার সাদাথ, সাংসদ হিবি ইডেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট’।