Birbhum Stoneman: সিউড়িতে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে যুবককে খুন, পেছনে এলাকরাই এক মহিলা!

সিউড়ির কলেজপাড়ায় এক ক্ষতবিক্ষত দেহ ঘিরে তোলাপাড় এলাকা। মৃতদেহর পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা পাথর। সেই ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুজনকে আটক করে পুলিস। ইতিমধ্যেই তাদের জেরা শুরু করেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হয়েছিল অপহরণ বাধা দেওয়াতেই পাথারের ঘায়ে মাথা থেঁথলে দেয় ২ যুবক। তারপর বাইকে চড়ে চম্পট দেয় তারা। কিন্তু তদন্ত এগোতেই বেরিয়ে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

ঘটনার তদন্ত নেমে মৃত যুবকের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিস। মৃত যুবকের নাম সেখ কুতুবউদ্দিন। সাঁইথিয়ার বাসিন্দা কুতুবউদ্দিনের অনুমানিক বয়স ৩৭ বছর। যে দুজনকে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাদের একজনের নাম মহম্মদ কায়েশ ও অন্যজন সেখ মোবারক। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় কুতুবউদ্দিনকে। তার পর একজন রাস্তার পাশ থেকে পাথর জাতীয় কোনও ভারী একটি বস্তু তুলে এনে কুতুবউদ্দিনের মাথায় বসিয়ে দেয়। হাড়হিম করা ওই ঘটনায়  চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। কিন্তু খুনের মোটিভ কী সেটাই জানতে চাইছে পুলিস।

এদিকে, তদন্তে উঠে এসেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা। পুলিস জানতে পেরেছে এলাকার এক মহিলার সঙ্গে কুতুবউদ্দিনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কুতুবউদ্দিনের পরিবারের দাবি ওই মহিলাই খুন করিয়েছে কুতুবকে। পুলিসকেও সেই কথা জানিয়েছে কুতুবউদ্দিনের পরিবার। মৃতের পরিবারের থেকে জানা গিয়েছে, কুতুবউদ্দিনের সঙ্গে সিউড়ি শহর লাগোয়া কালীপুর গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাই সে প্রয়াশই সিউড়ি আসত।

মৃতের দিদি বলেন, ভাইয়ের একটি সন্তান আছে। কিন্তু কালীপুরের ওই মেয়েটির সঙ্গে ওই সম্পর্ক ছিল। ও ফোন করলেই ভাই চলে আসতো। ওই মেয়েটি বলতো তার কাছে না গেলে ভাইকে ফাঁসিয়ে দেবে। ভাই শুক্রবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। আমার ভাই তার আয়ের সবটাই ওকে দিয়ে দিয়েছে। আমি নিশ্চিত ও-ই আমার ভাইকে মেরে দিয়েছে।

কুতুবউদ্দিনের দাদা বলেন, ভাই গাড়িতে ধান লোড করতো। থানার ফোন পেয়ে এলাম। দেখছি লাশ পড়ে রয়েছে। না জেনে কাউকে সন্দেহ করতে পারব না। সিউড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজের সূত্রে যেত। কী থেকে কী হয়ে গেল জানি না। পুলিস তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.