বিদেশি গোরুর দাপটে দেশী গরুর জাত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গীর প্রজাতির গোরু পোষার প্রভাব বাড়ছে। দুধও বেশি। তার মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে। গোরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়। গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরী হচ্ছে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা গোরুর নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। বিদেশী ভাবধারায় তাঁরা কুকুর পোষেন। কিন্তু গোরু নয়। অনেকে বিদেশী গোরু পোষেন। কিন্তু বিদেশী গোরু গোরুই নয় বলে জানান দিলীপ বাবু। তিনি বিদেশী গোরুকে একটা জন্তু মাত্র বলেও অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, “বিদেশিদের ওই গোরু হাম্বা করে ডাকেও না। যে গোরু হাম্বা করে ডাকে না সেটা নাকি গোরুর প্রজাতির মধ্যে পড়ে না এমনই বলেছেন তিনি। ওই গোরুর দুধ থেকে কোনেও ঔষধী গুণও পাওয়া যায় না বলে দাবী করেছেন দিলীপ বাবু। কিন্তু অনেকেই বিদেশী গোরু পুষছেন। কিন্তু আমাদের দেবতারা বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন না। কিন্তু অনেকেই ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশী জিনিস পছন্দ করেন। ইংরাজী বউও পছন্দ করেন। অনেক নেতাও বিদেশী স্ত্রী নিয়ে এসেছেন।”
তারপরেই গোলমাল শুরু হয়েছে। তার ফলে অনেক নেতাদের জেলেও যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সমাজকে বিকৃত করবেন না। দেশী গোরু পালন করুন। গো-পূজন কেবল পুজো নয়, গোরু আমাদের পরিবারের সম্পদ। কিন্তু গোরুর প্রতি বিতৃষ্ণা তৈরী করা হচ্ছে।
কলকাতার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোরুর মাংস খাচ্ছে অনেকেই। কে কি খাবেন তা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তাঁরা বাড়িতে গিয়ে খেতে পারেন। রাস্তায় কেন? যার মা মারা যায় সেও গোরুর দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। কিন্তু গোরুকে হত্যা করা, তার মাংস খাওয়াকে সমাজবিরোধী কাজ হিসাবেই আমরা দেখি। এবং সেটাই দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
সোমবার বর্ধমানের টাউন হলে রাজ্য ঘোষ ও গাভী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গোপাষ্টমী ও মহোত্সবের দ্বিতীয় দিনে গোমাতাদের পুজোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এইভাবে গোরু নিয়ে বিজেপির লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এদিনের অনুষ্ঠানে দিলিপ বাবু ছাড়াও তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বিজেপির পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি কৃষ্ণ সাহা প্রমুখ নেতৃত্ববৃন্দ। তিনি আরও বলেন, শ্রীকৃষ্ণ নিজে গোরু চড়িয়েছেন। বাঁশি বাজিয়েছেন। এছাড়াও কৃষ্ণ ঠাকুর গ্রামবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। ভারতবর্ষ গো-পালকদের দেশ। ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ।
কৃষির সঙ্গে গোপালন ও পশু পালন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত রয়েছে বলে জানান দিলীপ ঘোষ। শ্রেষ্ঠ ধন হিসাবে গো-ধনের কথা বলা আছে শাস্ত্রে। ভারতবর্ষের কৃষি গোরু পালনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। জমিতে রাসায়নিক দিয়ে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। ভারতবর্ষেও রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। পরিবর্তে গোবর সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। গোরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়। গোমূত্র থেকে ওষুধ তৈরী হচ্ছে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা গোরুর নাম শুনলেই গায়ে জ্বর আসে। বিদেশী ভাবধারায় তাঁরা কুকুর পোষেন। কিন্তু গোরু নয়। অনেকে বিদেশী গোরু পোষেন। কিন্তু বিদেশী গোরু গোরুই নয় বলে জানান দিলীপ বাবু। তিনি বিদেশী গোরুকে একটা জন্তু মাত্র বলেও অভিহিত করেন।