রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কি তাহলে বাকিবুর রহমানের যোগাযোগ আছে? না হলে বৃহস্পতিবার সাত সকালে কেন মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেবে ইডি তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে এই ঘটনায় খোঁচা দিতে ছাড়েনি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। সুকান্ত, সুজন উভয়েই দাবি করেছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির হানা খুবই সাধারণ ঘটনা। এটা আগেই হওয়া উচিত ছিল।
বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগাযোগের কথা বারবারই তুলেছেন বিরোধীরা। বাকিপুরের বিশাল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি আছে বাকিপুরের, নাকি অন্য কেউ বা কারা এই জমি কিনেছিল তার তদন্ত চলছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, বাকিপুরের এত সম্পত্তির মালিক আসলে কে, এ কথা সকলেই জানে। এটা ওপেন সিক্রেট। অন্য কারো টাকা বাকিবুর রহমানের নামে আছে। এখন বোঝা যাচ্ছে কার টাকা।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডির হানাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে দাবি করে সুকান্ত বলেন, অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তাঁর কথায় শুধু হানা দিলেই হবে না এদের জেলেও ঢোকাতে হবে।
মন্ত্রীর মেয়ের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়ে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেন, ওনার মেয়ে টিউশনি করেন তার অ্যাকাউন্টে তিন কোটি টাকা রয়েছে। আমি এতো ভালো শিক্ষক হয়েও এত ভালো পড়াতে পারবো না কোনদিন। মানুষের এদের ছেড়ে রাখা উচিত? না এদের জেলে পুরে দেওয়া উচিত?
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি যাওয়ার ঘটনাকে স্বাভাবিক ঘটনা বলে দাবি করেছেন। রাজ্যের ১০ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া হয়, এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুজনের কথায় রাজ্যে সাড়ে সাত কোটি মানুষ রেশন নেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন সল্টলেকে জ্যোতিপ্রিয়র দুটি বাড়িতে। এরপর মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক ও তার এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। এমনকি বেনিয়াটোলা লেনে জ্যোতিপ্রিয়র পৈত্রিক বাড়িতেও পৌঁছায় ইডির একটি দল। পাশাপাশি ইডির আরো একটি দল পৌঁছায় আপ্ত সহায়কের বন্ধুর বাড়িতেও।