উদ্বোধন হলো ভারতের প্রথম রিজিওনাল ফাস্ট ট্রানজিট সিস্টেম নমো ভারতের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখান। দিল্লির গাজিয়াবাদ মিরাট রুটে আপাতত ট্রেন ছুটতে শুরু করবে। পরে আরো বেশ কিছু রুটে এই ট্রেন ছুটবে। গোটা ট্রানজিট সিস্টেমটি ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়ার কথা। যে রুটে ট্রানজিট সিস্টেমের উদ্বোধন হলো সেটি ১৭ কিমি দীর্ঘ হবে।
গত ২০১৯ সালের ৮ মার্চ দিল্লি- গাজিয়াবাদ- মিরাট করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লি- গাজিয়াবাদ- মিরাট আরআরটিএস
করিডোরটি ১৭ কিমি দীর্ঘ। আজ উদ্বোধনের পর আগামীকাল ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে এই সিস্টেমে।
দিল্লি এবং মিরাটের মাঝে এই রুটে মোট পাঁচটি স্টেশন থাকবে। মোদী এই ট্রেনটিকে সবুজ পতাকা দেখান। এই গোটা ট্রানজিট সিস্টেমে ২৪টি স্টেশন থাকবে। স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসে শাহীবাদ থেকে দোহাই ডিপু পর্যন্ত পুরো রুটে সর্বোচ্চ ভাড়া ৫০ টাকা। এদিকে এই ট্রেনে প্রিমিয়াম ক্লাসের ভাড়া শুরু হবে ৪০ টাকা থেকে। এই ক্লাসে সর্বোচ্চ ভাড়া হবে ১০০ টাকা। যে শিশুরা ৯০ সেন্টিমিটারের ছোট তাদের বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে ট্রেনে। ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে এই ট্রেন। তবে ভারতে চলাকালীন সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার গতি থাকার কথা। যদিও যাত্রী নিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে এই ট্রেন। দিল্লি- গাজিয়াবাদ- মিরাট আরআরটিএস করিডরে ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ১২ মিনিট লাগবে বলে জানা গেছে। যেটা এমনিতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লাগে। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনের সময় লাগে তার থেকে অনেক কম।
তবে ট্রেনের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় নতুন
আরআরটিএস ট্রেনগুলির নাম নমো ভারত হবে। আর তারপরেই কংগ্রেস অভিযোগ করেছে নিজের প্রচারের কোনো সুযোগই ছাড়ছেন না মোদী। নমো স্টেডিয়ামের পর এখন নমো ট্রেন বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর অভিযোগ, মোদীর আত্মমগ্নতার কোনো সীমা নেই।