জন্মদ্বিশতবর্ষে শ্রদ্ধা বঙ্গে দয়ানন্দ সরস্বতী

কথামৃতে রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলছেন, “দয়ানন্দ বাঙলাভাষাকে বলত ‘গৌড়াণ্ড ভাষা’।” ‘গৌড়’ ছিল বাঙ্গালা দেশের অন্যতম নাম। মহাভারতে ‘গৌড়’ নামটি পাওয়া যায়, অবশ্য ‘বঙ্গ’ নামটিও পাই। পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীতে ‘গৌড়পুর’ কথাটি আছে। হয়তো গুড়ের দেশ ব’লেই নামটি ‘গৌড়’। মধ্যযুগের বাঙ্গালায়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ‘গৌড়িয়া’ শব্দটি ব্যবহৃত হত, জানিয়েছেন ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়। বৈষ্ণব সমাজে ‘গৌড় ভক্তবৃন্দ’ কথা প্রচলিত আছে। শ্রীচৈতন্যের জীবনকালে নবদ্বীপ অথবা পশ্চিমবঙ্গের কোনো স্থান থেকে কেউ পুরীধামে উপস্থিত হলে, তিনি ‘বাঙ্গালী’ বলে নয়, ‘গৌড়িয়া’ বলেই অভিহিত হতেন। বাঙ্গালা ভাষাকে দয়ানন্দ বলতেন ‘গৌড়াণ্ড ভাষা’। তিনি সম্ভবত রাজা রামমোহন রায়ের (১৭৭২-১৮৩৩) দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। কারণ রামমোহন তাঁর রচিত বাংলাভাষার ব্যাকরণ বইয়ের নাম দিয়েছিলেন ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’। মধুসূদন তাঁর ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যে সমগ্র বঙ্গভাষীকে বোঝাতে ‘গৌড়জন’ কথাটি ব্যবহার করেছেন। এখন ‘গৌড় ও ‘বঙ্গ’ দুটি নামেরই স্বচ্ছ ইতিহাস আছে। সুনীতি কুমারের মতে তাই ‘গৌড়-বঙ্গ’ এই যুগ্মনামের ব্যবহার দুই পুরাতন নামের স্মৃতি ও মর্যাদা একত্রে রক্ষা করতে পারে৷ দয়ানন্দের গৌড়-ভাবনাটি বাঙালির কাছে নতুন করে আলোচ্য হয়ে উঠেছে। যেমন গৌড়ীয় সংস্কৃতি, গৌড়ীয় নৃত্য, গৌড়ীয় ব্যাকরণ।

বয়সে তিনি ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের চাইতে ১২ বছরের বড়। ধর্মক্ষেত্রে এবং সমাজ সংস্কারে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (১৮২৪-১৮৮৩) তখন সমগ্র ভারতবর্ষের সনাতনী হিন্দু সমাজের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম৷। শ্রীরামকৃষ্ণ ধর্ম বিষয়ে অর্জন করেছিলেন দিব্যজ্ঞান।আর বেদভিত্তিক ধর্মীয় ভারতবর্ষের অবৈদিক আচরণ দূর করতে দয়ানন্দের বিখ্যাত শ্লোগান ছিল, “Back to the Vedas”. ধর্মান্দোলনে তাঁর ভিত্তি ছিল বেদ।

দয়ানন্দ বিশ্বাস করতেন বেদই ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির সকল সত্যের আধার। খ্রীষ্টধর্ম এবং ইসলাম ধর্মের বিপ্রতীপে একটি প্রবল প্রতিপক্ষ হিসাবে, প্রতিবাদী সংস্থা হিসাবে তিনি উত্তরভারতে সনাতনী হিন্দু ধর্মকে সরবে শক্তিশালী করে তোলবার জন্য ‘আর্যসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করলেন (বোম্বাই,১৮৭৫)। শ্রীরামকৃষ্ণদেব যেখানে নীরব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি খ্রীষ্টিয় পরত মাখা দিন (১৮৮৬ সালের ১লা জানুয়ারি) খ্রীষ্টধর্মকে অতিক্রম করে হিন্দুয়ানির পবিত্রতা লেপে তাকে ‘বোল্ড আউট’ করে দিলেন,মহর্ষি দয়ানন্দ সেখানে ‘শুদ্ধি’ অভিযানের মাধ্যমে হিন্দু থেকে অহিন্দু হয়ে যাওয়া মানুষগুলিকে পুনরায় ধর্মান্তরিত করে সনাতনী হিন্দু বানালেন। এই আন্দোলন যে ভারতীয় জাতিকে এক ধর্মে ও এক সমাজে গেঁথে দেওয়া তা আর আজ অস্পষ্ট নয়। দয়ানন্দ সরস্বতীর এই প্রভাব হয়তো স্বামী বিবেকানন্দের উপরও বর্তেছিল।হিন্দুধর্মে পুনরায় ফিরে আসার ব্যাপারে স্বামীজির মতামত হিসাবে নিবেদিতা তা উল্লেখ করেছেন নিজের গ্রন্থে।

রাজা রামমোহন রায়ের মতবাদের সঙ্গে দয়ানন্দের মতবাদের কিছুটা মিল দেখতে পাওয়া যায়। দু’জনেই ছিলেন অপৌত্তলিক এবং একেশ্বরবাদী। উভয়েই ছিলেন বর্ণপ্রথা, বাল্যবিবাহের মতো বিবিধ প্রচলিত রীতিনীতির বিরোধী। দু’জনকেই আমরা দেখি সমাজ সংস্কারের কাজে অংশগ্রহণ করতে। কালাপানি পার হওয়া বা সমুদ্রযাত্রার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল, তার বিরুদ্ধে দুজনেই কথা বলেছেন। নিজের নিজের মতবাদ প্রচার করার জন্য দুজনেই গ্রন্থ রচনা করেন। দয়ানন্দের জনপ্রিয় গ্রন্থের নাম ‘সত্যার্থ প্রকাশ’। অপর বাঙালি সমাজসংস্কার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো তিনিও বিধবা-বিবাহ ও স্ত্রী-শিক্ষা বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। তবে দয়ানন্দ সরস্বতী যখন বঙ্গে আসেন তখন বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে নি। রাজা রামমোহন রায় তো দয়ানন্দের কিশোর বেলায় পরলোকগমন করেছিলেন। রামমোহন যেমন আপন মতবাদ কেবলমাত্র শিক্ষিত সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন, দয়ানন্দজী কিন্তু আপামর জনসাধারণের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ সেনের বিশেষ আগ্রহে দয়ানন্দ সরস্বতী বঙ্গদেশে এসেছিলেন নিজের দর্শন প্রচারের জন্য। কেশবচন্দ্রের অনুরোধই সংস্কৃত ও হিন্দিতে তিনি কলকাতার ভক্তমণ্ডলী ও শিক্ষিত সমাজের কাছে বেদব্যাখ্যা করেছিলেন। ১৮৭২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তিনি ভাগলপুর থেকে কলকাতায় এলেন৷ ১৮৭৩ সালের ১৬ ই এপ্রিল পর্যন্ত তিনি বঙ্গের কলকাতা, হুগলি এবং বর্ধমানের নানান স্থানে অতিবাহিত করেন। তাঁর সঙ্গে ব্রাহ্মনেতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাক্ষাৎ ঘটেছিল। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির বাগানে দেখেছিলেন। কথামৃতে পাওয়া যায়, “দেখতে গিছলুম, তখন ও ধারে একটা বাগানে ছিল।… খুব পণ্ডিত। ….ইনি বুঝি হোম আর দেবতা মানতেন না, নিরাকারবাদী।” কলকাতায় আরও যে বিশিষ্টজনের সঙ্গে দয়ানন্দের সাক্ষাৎ ঘটেছিল তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ব্যারিষ্টার উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (পরে ১৮৮৫ সালে বোম্বাই-এ জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন), ব্রাহ্মসমাজের নেতা ব্যারিষ্টার চন্দ্রশেখর সেন ( স্বামী দয়ানন্দ ছিলেন কাশী শাস্ত্র-বিচারের বিজেতা এবং এই বিচার সভায় শ্রী সেন উপস্থিত ছিলেন। ব্যারিষ্টার সেন ‘ভূ-প্রদক্ষিণ’ গ্রন্থের প্রণেতা), বেদজ্ঞ পণ্ডিত ও কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য শ্রী সত্যব্রত সামশ্রমী, শ্রী ভূদেব মুখোপাধ্যায়, রেভারেণ্ড লালবিহারী দে, সাহিত্যিক অক্ষয়চন্দ্র সরকার প্রমুখ। রেভারেণ্ড লালবিহারী দে-কে তিনি বৌদ্ধিক বিচারে পরাজিত করেন বলে জানা যায়।

কলকাতায় পৌঁছালে স্বামী দয়ানন্দজীকে কলকাতার পাথুরিয়া রাজবাড়িতে আনা হল। আহার ও বাসস্থানের ব্যবস্থা হল বরানগরের ‘নাইনান বাগান বাড়ি’-তে। ১৭ ই ডিসেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বর নাইনান বাড়িতে থাকার সময় জনসমাগম ঘটতে দেখা যায়, স্বামীজি বহু মানুষের ধর্মীয় প্রশ্নের জবাব দেন। ২২ শে ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ত্রিদিব ভট্টাচার্যের সাক্ষাৎলাভ হয়। ১৮৭৩ সালের ১ লা এপ্রিল তিনি বরানগর ত্যাগ করে ভূদেব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে হুগলিতে আসেন এবং বৃন্দাবনচন্দ্র মণ্ডলের বাগানবাড়িতে অবস্থান করেন। এখানে তিনি সংস্কৃত ভাষায় বক্তৃতা দেন৷ বিশিষ্টজন এবং ভট্টপল্লীর পণ্ডিতের তাঁর বক্তব্যে মুগ্ধ হন। ৭-৮ এপ্রিল হুগলিতে পণ্ডিত তারাচরণ তর্করত্নের সঙ্গে মূর্তিপূজা বিষয়ে তাঁর শাস্ত্রবিচার চলে। এভাবে ১২ ই এপ্রিল পর্যন্ত হুগলি জেলার নানাস্থান তিনি পরিভ্রমণ করেন৷ ১৩ ই এপ্রিল তিনি চলে যান বর্ধমানে এবং রাজা বনবিহারীর আমন্ত্রণে কাপুর রাজবাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন। বর্ধমান রাজবাড়িতে অবস্থানকালে তাকে নানান ধর্মীয় উপদেশ দিতে দেখা যায়। অবশেষে ১৬ ই এপ্রিল তিনি বর্ধমান ত্যাগ করে ভাগলপুর যাত্রা করেন৷

১৮৮৩ সালে যোধপুর রাজবাড়িতে অবস্থান করে তিনি যখন স্বদেশী চেতনা জাগ্রত করছেন, সাত্ত্বিক জীবন অতিবাহিত করার উপদেশ দিচ্ছেন, সে সময় রাজপুত রাজার রক্ষিত এক বাঈজির ষড়যন্ত্রে পাচক তাঁকে বিষ ও কাঁচের গুঁড়ো মেশানে দুধ পরিবেশন করে হত্যার চেষ্টা করে। রাজার শতচেষ্টাতেও তিনি আরোগ্য লাভ করেন না। ঐ বছর ৩০ শে অক্টোবর আজমীঢ়ে তিনি সজ্ঞানে পরলোকগমন করেন। তখনও শ্রীরামকৃষ্ণ জীবিত ছিলেন। ঠাকুর স্বামী দয়ানন্দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। কথামৃতে পাওয়া যায় ১৮৮৩ সালের ২৮ শে নভেম্বর সিঁথির এক ব্রাহ্মণ বেদান্তবাগীশের সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সংলাপ —
শ্রীরামকৃষ্ণ — কাশীতে অনেকদিন ছিলে, কি সব দেখলে, কিছু বল। দয়ানন্দের কথা একটু বল।
পণ্ডিত — দয়ানন্দের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আপনি তো দেখেছিলেন?
শ্রীরামকৃষ্ণ — দেখতে গিছলুম, তখন ওধারে একটি বাগানে সে ছিল। কেশব সেনের আসবার কথা ছিল সেদিন। তা যেন চাতকের মতন কেশবের জন্য ব্যস্ত হতে লাগল। খুব পণ্ডিত। বাঙ্গালা ভাষাকে বলত, গৌরাণ্ড ভাষা। দেবতা মানত — কেশব মানত না! তা বলত, ঈশ্বর এত জিনিস করেছেন আর দেবতা করতে পারেন না! নিরাকারবাদী। কাপ্তেন “রাম রাম“ কচ্ছিল, তা বললে, তার চেয়ে “সন্দেশ সন্দেশ” বল।
পণ্ডিত — কাশীতে দয়ানন্দের সঙ্গে পণ্ডিতদের খুব বিচার হল। শেষে সকলে একদিকে, আর ও একদিকে। তারপর এমন করে তুললে যে পালাতে পাল্লে বাঁচে। সকলে একসঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে লাগল — ‘দয়ানন্দেন যদুক্তং তদ্ধেয়ম্‌’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৮৬৯ সালে কাশীর আনন্দবাগে বিচারে অবতীর্ণ হন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (১৮২৪-১৮৮৩)।

শুদ্ধি আন্দোলনের নবপর্যায়ে হিন্দুধর্মে পথভ্রষ্ট হিন্দুদের স্বধর্মে ফেরার ব্যবস্থা কি আছে? থাকলে কী! কারা কারা এই চেষ্টায় সাহস জুগিয়েছেন! নিবেদিতা একবার এ ব্যাপারে স্বামীজির মত জানতে চেয়েছিলেন। স্বামীজি বলেছেন, “অবশ্যই। তারা ফিরতে পারেন এবং তাদের গ্রহণ করাই উচিত।” বিপথগামী হিন্দু কারা সে বিষয়ে স্বামীজি বলেছেন, বিশাল সংখ্যক ভারতীয় যারা তরবারির আঘাতে ইসলামধর্মে বা খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন, তারা বা তাদের উত্তর পুরুষেরা। বলেছেন, প্রত্যাবর্তন বা ঘর-ওয়াপসিতে প্রায়শ্চিত্তের অনুষ্ঠান করা উপযুক্ত যারা স্বেচ্ছায় নিজস্ব ধর্মে প্রত্যাবর্তন করতে চান। যারা যুদ্ধের ফলে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত হয়েছেন, অচেনা-অজানা বিধর্মী ব্যক্তি তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত হবে না, জানিয়েছিলেন স্বামীজি। আরও বলেছেন, প্রত্যাবর্তনকারীরা নিজেদের জাত ফিরে পাবেন আর নবাগতেরা নতুন জাত তৈরি করে নেবেন। নতুন করে তাদের হিন্দু নামকরণ করা হবে, জাত অনুযায়ী নামকরণের কথাই সেক্ষেত্রে বলেছিলেন স্বামীজি। নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিজেরাই বেছে নেবেন, কে শিবকে ইষ্ট দেবতা করবেন, কে কালীকে, অথবা কে গণপতি বাপ্পাকে।

অতএব মনে হয় কোথায় যেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী প্রণবানন্দজী যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যান। কী আয়োজন রেখেছে তাদের সম্মিলিত ভাবাদর্শের হিন্দুসমাজের বর্তমান পৌরোহিত্য, তা হয়তো সযত্নে লক্ষ্য করছেন ফেরায় প্রত্যাশী অহিন্দু মানুষ। হয়তো সাগ্রহে প্রতীক্ষা করছেন তারা, আমন্ত্রণ আসুক। সেই লোকগীতির মতো, ভাই যেন বিবাহিত বোনকে বাপের বাড়ি নিয়ে যায় — “কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া,/ আমার ভাই ধনরে কইয়ো, নাইওর নিতো বইলা/ তোরা কে যাস, কে যাস ?” যারা প্রকৃত অর্থে ভারতবর্ষকে মাতৃভূমি বলে গ্রহণ করেছেন এমন মানুষের জন্য এ দরজা খোলা রইবে না কেন? রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান ডা. মোহন ভাগবত একাধিক বার বলেছেন, “All people living in India are Hindu by identity.” সভী ভারতীয় হিন্দু হ্যায়। RSS regards 130 crore population of Indian as Hindu Society. যদি সদর্থক মানুষকে ফেরার দরজা খুলে দেওয়া যায়, তবেই স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর দ্বিশততম বর্ষে শ্রেষ্ঠ পুষ্পার্ঘ্য হবে।

কল্যাণ গৌতম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.