পাকিস্তানে দলিত হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ বিয়ে, আদালতও শুনছে না কাতর আবেদন

পাকিস্তানে সিন্ধু প্রদেশে এক হিন্দু দলিত মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠল। ওই মেয়েটি তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে চায় জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও আদালত মেয়েটির আবেদন শোনেনি। দুই মাস আগে এই ঘটনাটি ঘটে।

রাজিতা মেঘাওয়ার কলিহ নামে ওই মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। রাজিতা সম্প্রতি তার অবস্থার কথা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায় অপহরণ করে তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তারপর এক মুসলিম ছেলের সঙ্গে জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজিতা জানিয়েছেন, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর তারপর থেকেই তাকে বন্দি রাখা হয়েছিল।

বন্দি থাকার সময় কোনোক্রমে সে পালিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দ্বারস্থ হয় ১৫ অক্টোবর। ওই সংগঠন আশ্রয় দেয় তাকে। ওই সংগঠনের সাহায্যে একটি দৈনিক পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেয় রাজিতা। সেখানে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সিন্দ প্রদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু কিশোরী মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধার্মান্তরিত করা হচ্ছে। তাদের জোর করে মুসলিম ছেলেদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পালিয়ে আসার পরেও কোনো শান্তি নেই কারণ প্রতিনিয়ত তাকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজিতার পরিবারের সকলকে খুন দেওয়ার হুমকি দিয়েছে অপহরণকারিরা। আদালতে আপিল করেছিলেন রাজিতা। কিন্তু সেখান থেকেও ফিরে আসতে হচ্ছে তাকে বারবার। রাজিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালত রাজিতার আবেদন গ্রাহ্য করছে না। রাজিতা বারবার বলছেন, তিনি তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে চান, কিন্তু সে কথায় আমল দিচ্ছে না আদালত।

পাকিস্তানি ক্রিকেটার দানিশ কানোরিয়া এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন জোর করে ধর্মান্তর মানবতার বিরোধী। পাকিস্তানের কোনো আদালতে হিন্দু মেয়েদের আবেদন গ্রাহ্য হয় না। মেয়েটিকে সুবিচার দিতে ব্যর্থ পাক আদালত। ফলে বার বার এই ধরনের অপরাধ ঘটেই চলেছে সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.