ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঝকঝকে আকাশ। কড়া রোদ। সকালে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ঘেমেনেয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। তবু স্বস্তি, বৃষ্টি নেই! বঙ্গবাসীর মনে প্রশ্ন, পুজোর চারটে দিন এ ভাবেই কেটে যাবে তো? না কি ভোগাবে বৃষ্টি? আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগের মতোই পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, নবমী, দশমীতে দক্ষিণের কিছু জেলায় হতে পারে বৃষ্টি। তবে উত্তরবঙ্গে সেই সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন-চার দিন রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে এক থেকে দু’ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। ২২ অক্টোবর নাগাদ এটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে বলে পূর্বাভাস। তার পরে এই নিম্নচাপ বাঁক নিয়ে উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোতে পারে। যার ফলে নবমী এবং দশমীতে বৃষ্টির পূর্বাভাসের কোনও বদল হচ্ছে না। ২৩ অক্টোবর নবমীতে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। বাকি জেলায় আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
২৪ অক্টোবর, দশমী এবং ২৫ অক্টোবর একাদশীতে কলকাতা-সহ দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। ওই দুই দিন দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় আকাশ থাকবে মেঘলা। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। ২৬ অক্টোবরও এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সে দিন কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বাকি জেলায় আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক।
হাওয়া অফিস আগে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তাতে জানিয়েছিল, দক্ষিণের কিছু জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও উত্তরবঙ্গে পুজোর সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সেই পূর্বাভাসের তেমন বদল হয়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
নবমী, দশমী দক্ষিণের কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও জেলার সব জায়গায় একসঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে। ফলে পুজো দেখায় ব্যঘাত ঘটবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির ফাঁকে ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা।