জামা-প্যান্টের ব্যবসার আড়ালে হেরোইন কারখানার হদিশ। উদ্ধার করা হয় প্রচুর মাদক তৈরির সরঞ্জাম। এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার বিষ্ণুপুর এলাকায়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে হেরোইন কারখানার হদিশ পায় এসটিএফ। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত মহিলার নাম কাকলি রায়।
এসটিএফ সূত্রের খবর, তাদের কাছে খবর ছিল গাইঘাটা থানার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর এলাকার একটি বাড়িতে চলছে হেরোইন তৈরি। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় হানা দেয় এসটিএফ। কাকলি রায় নামে এক মহিলার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মাদকের সরঞ্জাম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এসটিএফের দাবি, কাকলি রায়ের তত্ত্বাবধানে চলছিল হেরোইন তৈরি। কয়েকজন রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে তাঁর বাড়িতে এসে হেরোইন তৈরির কাজ করতেন বলে জানাগিয়েছে। কাকলি রায়-সহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন এসটিএফের আধিকারিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে কাললি রায় এক সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপড় বিক্রির কাজ করতেন। বছর দুই আগে সেই কাজ ছেড়ে বাড়িতে জামা-প্যান্ট তৈরির কারখানা তৈরি করেন, পাশাপাশি বাড়িতে মুরগির খামারও আছে। একটি বাড়িও নতুন তৈরি করছে। এই বাড়িতে বিভিন্ন মিস্ত্রিরা আসা যাওয়া করে। তাঁদের মধ্যে কিছু মিস্ত্রি হেরোইন তৈরির কাজ করত, আর কিছু মিস্ত্রি হেরোইন পাচারের কাজ চালাতো। এখনও পর্যন্ত এসটিএফ আধিকারিকরা জানতে পেরেছে এই ব্যবসার মূল পান্ডা কাকলি রায়।
এ বিষয়ে সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিহির বিশ্বাস জানান, অভিযুক্ত কাকলি রায় বছর দেড়েক আগে হকারি করতেন। জামাপ্যান্ট বিক্রি করতেন। এসবের আড়ালে কবে থেকে এই মাদকের ব্যবসা শুরু হল, এ বিষয়ে হতবাক সকলে। ঘুণাক্ষরেও এই কীর্তিকলাপ কেউ জানতে পারেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও এসটিএফের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, শুধু কাকলি নয়, এর পেছনে আরও কারা কারা জড়িত আছে তা জানতে তদন্ত চলছে।