পঞ্চমীর দিনও অধিকাংশ সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলা। তার মধ্যে দুপুর গড়ানোর আগেই ঠাকুর দেখতে মানুষ পথে নামবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দুপুরের পর শহরের বেশ কিছু রাস্তায় যানজট হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে যানজট যথাসম্ভব এড়াতে আগাম সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে পুলিশও।
যানজট এড়াতে যাবতীয় রাজনৈতিক মিটিং-মিছিলের অনুমতি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বছর চতুর্থী থেকেই যে রকম ভিড় দেখা যাচ্ছে, তাতে পঞ্চমী থেকে এই ভিড় আরও বাড়বে। ওই সূত্রের খবর, দুপুরের পর উত্তর কলকাতার হাতিবাগানমুখী রাস্তায় এবং দক্ষিণ কলকাতায় গড়িয়াহাটমুখী রাস্তায় যান চলাচলের গতি কমতে পারে।
উৎসবের আমেজ নিতে পথে নামা মানুষ, অন্য দিকে, অফিসফেরতা নিত্যযাত্রীদের ভিড়— এই দুইয়ে মিলে দুর্গাপুজোর চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকে যানজটে নাকাল হতে শুরু করে কলকাতা। মোড়ে মোড়ে রাস্তা পেরিয়েছেন মানুষ। স্রোতের মতো তাঁরা ঢুকে পড়েছেন এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায়। ফলে থমকে গিয়েছে গাড়ি চলাচল। বেড়েছে যানজট। বৃহস্পতিবার এই যান-যন্ত্রণা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহালয়া থেকেই বহু পুজোর উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে কলকাতায়। সেই সব পুজোর প্রতিমা এবং মণ্ডপ দেখার ভিড় জমতে শুরু করেছে প্রতিপদ থেকেই। পুজো যত এগিয়ে আসছে, ভিড়ের মাত্রা ততই বাড়ছে। যা স্বাভাবিক। শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের মণ্ডপ ঘিরে ভিড় তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন, বালিগঞ্জ কালচারাল, সিংহী পার্ক, সুরুচি সংঘ, চেতলা অগ্রণী, নাকতলা সার্বজনীনের মতো জনপ্রিয় পুজোগুলিকে ঘিরে যে সমস্ত রাস্তাঘাট, সেই সব রাস্তাও ভিড়ে ঠাসা। স্বাভাবিক ভাবই ব্যাহত হচ্ছে ট্রাফিক।