ইজরায়েলের রকেট প্রতিরোধী আয়রন ডোম-র সুখ্যাতি দুনিয়াজুড়ে। সেই আয়রন ডোম খানিকটা হলেও বেইজ্জত হয়ে গিয়েছে হামাসের রাশি রাশি রকেট হামলার মুখে। মাত্র আধঘণ্টায় প্রায় ৫ হাজার রকেট ইজরায়েলি এলাকায় ছুড়ছে হামাস। এত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইজরায়েলের। সেই হামলার পাল্টা হিসেবে গাজায় বোমা হামলা শুরু করে দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতেনিয়াহু সরকার। এবার হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েল মাঠে নামাচ্ছে তার ভয়ংকর রকেট বিধ্বংসী অস্ত্র আয়রন বিম।
ইজরায়েল-হামাস লড়াইয়ের আজ দশম দিন। উত্তর গাজায় স্থলযুদ্ধে নামার কথা ছিল ইজরায়েলি সেনার। তা এখনওপর্যন্ত হয়নি। কিন্তু সম্ভবত আজই গাজা বর্ডারে আয়রন বিম মোতায়েন করছে ইজরায়েলি সেনা। এই অস্ত্র থেকে বের হওয়া শক্তিশালী লেজার বিম যেকোনও রকেট বা মর্টারতে ধ্বংস করে দিতে পারে। ইজরায়েল সরকার ঠিক করেছিল আররন বিম সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে ২০২৫ সালে। কিন্তু তার আগেই এই আপাতকালীন পরিস্থিতিতে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে আয়রন বিম-কে। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবর, এখনই এটিকে মোতায়েন করে একটি ক্ষমতা যাচাই করে নিতে চাইছে সরকার।
আয়রন বিমের কথা প্রথম জানতে পারা যায় ২০১৪ সালে। কিন্তু এর কার্যকারিতা এখনও দেখা যায়নি। এটি তৈরি করেছে রাফাল অ্যাডভান্স ডিফেন্স সিস্টেম। যে কোনও আবহাওয়ায় এটি কাজ করতে পারে। শক্তিশালী লেজার বিম দিয়ে এটি মর্টার, রকেট, কামানের গোল আকাশেই ধ্বংস করে দেবে বলে দাবি ইজরায়েলের। তবে এর পাল্লা খুব বেশি নয়। সাত কিলোমিটারের মধ্যে কোনও বস্তু এলে এটি তা নষ্ট করতে পারে। এই অস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে ইজরায়েলের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিসের আধিকারিক ড. জেসুয়া কালিস্কি সংবাদমাধ্য়মে বলেছেন, এই অস্ত্রের সমস্যা হল এটিকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে যোগ করা।
আয়রন ডোমের সহ্গে তুলনা করলে আয়রন বিম ডিফেন্স সিস্টেম অনেকটাই সস্তা। আয়রন ডোম থেকে কোনও একটি রকেট ছোড়ার খরচ ৬০ হাজার ডলার। সেই জায়গায় এর থেকে অনেক গুন কম খরচে লেজার বিম ছোড়া যাবে। তবে বাতাসে জলীয় বাস্প থাকলে এটি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার আগেই এক মারণ ক্ষমতা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যায়। আরও একটি সমস্যা হল লক্ষ্যবস্তু ও আয়রন বিম সরলরেখায় থাকতে হবে। তবে এবার তার পক্ষীক্ষা হলে বোঝা যাবে এই আয়রন বিমের ক্ষমতা।