মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷
রবিবার একবালপুরে মাড়োয়ারি মহিলা সমিতির একটি অনুষ্ঠানে নিজের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করলেন তিনি৷ রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রীর থেকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা পেলেন না৷
যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থা হওয়ার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ রেড রোডে কার্নিভালে তাঁর আলাদা বসার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার তাঁকে অপমান করেছে বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন তিনি৷ তবে কালীপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাজ্যপালের সস্ত্রীক দুঘন্টা কাটানোর পর অনেকেই ভেবেছিল দুপক্ষের সংঘাত হয়তো মিটল৷ কিন্তু এদিন মমতার প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের এরকম মন্তব্যে স্পষ্ট সংঘাত এতটুকুও কমেনি৷
এদিন জগদীপ ধনকড় বলেন, এটাই একমাত্র রাজ্য যেখানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাননি৷ চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রণ পাননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ রাজ্যপালের এই মন্তব্য শুনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “এই ধরণের ছেলেমানুষ অভিযোগ আমি কখনও শুনিনি৷ এসব বলে কি উপকার হচ্ছে জানি না৷ “
উল্লেখ্য, রেড রোডে কার্নিভালের সময় রাজ্যপাল বলেছিলেন, “রাজ্যের প্রথম নাগরিককে যে ভাবে আলাদা করে বসিয়ে কোণঠাসা করা হল তা দুঃখজনক শুধু নয়, লজ্জাজনকও বটে। তাঁর কথায়, আমাকে এমন জায়গায় বসতে দেওয়া হয়েছিল যে কার্নিভালের অনুষ্ঠানই আমি দেখতে পাইনি। সামনে কুড়ি বাইশ জন লোক ব্লক করে বসেছিলেন। আমাকে অনেক বার আসন বদলাতে হয় ভাল করে অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি সৌজন্য? “
বিভিন্ন সময়ে রাজ্যপালের কাছ এধরণের মন্তব্য শুনে, তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, রাজ্যপাল ঠিক কী চাইছেন আমরা বুঝতে পারছি না৷ তবে রাজনৈতিক মহল যেটা বুঝছে সেটা হল, জগদীপ ধনকড় মমতার প্রশাসনকে খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না৷
এদিন ফোন ট্যাপ ও হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি পাতা নিয়েও রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছেন, “আমার কাছে অনেকে অভিযোগ করছে বাংলাতেও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে৷”