নীচের ছবিটি ভালোকরে দেখুন. রাজনৈতিক মত সরিয়ে নিউট্রাল ভাবে মানুষের চোখদিয়ে দেখুন. কি অনুভব করছেন? দুঃখ, সলিডারিটি, ? বেশ, অর্থাৎ প্রমাণিত হল আপনি মানুষ. এবং প্রমাণিত হল আপনি পাতা ফাঁদে পা দিয়ে মুরগী হবার দিকে একপা এগিয়ে গেলেন.

নিন, এবার পড়ুন আর আবার ভালোকরে আবার দেখুন এবং দেখান.

1) বাচ্চাগুলোর জামাকাপড়েতো এতটুকু ময়লা লাগেনি .
2) বাচ্ছারকোলে বাচ্ছা. ধেড়েগুলো কোথায় ?

একটু অবাক লাগছেতো এবার? হ্যাঁ,,
এটা খুব ট্রিকি খেলা, আপনি অন্তত দুতিন প্রজন্ম ধরে এই লাইনে ট্রিকড হয়ে এসেছেন. এটা বুঝতে গেলে আগে একটুখানি ইন্ট্রোস্পেক্ট করতে হবে. সিমপ্যাথি জিনিসটা মানুষের ধর্ম. কিন্তু সবসময় আসেনা. কেন আসেনা? কখন আসে এবং কেন আসে? ভেবেছেন কখনো?

আসলে মানুষ সলিডারিটি দেখায় তাকেই যাকে “নিজের মতো” মনেকরে রিলেট করে . যখন নিজেকে ম্যামাল ভাবে তখন পাঁঠা কাটার সময় সলিডারিটি পায়, কিন্তু মাছকাটলে ব্যথা পায়না. যখন নিজেকে এনিম্যালের ক্যাটেগরীতে ফেলছে তখন ননভেজে ব্যথা পায়, কিন্তু শাকপাতা তুললে ব্যথা পায়না. এখানে মোটামুটি ভালো জামাকাপড় পরা বাচ্চা দেখানোর কারণটাও তাইই, টার্গেট মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সলিডারিটি. ঠিক এই লজিকেই আয়লান কুর্দির ছবিটা ইউরোপীয় সেন্টুতে হিটকরেছিল. যদি কিম্ভুত মনুষ্যেতর আউটফিটে ডেডবডিদেখাতো অতোটা এফেক্টিভ হতোনা, জাস্ট করুণা জাগতো সামান্য, কিন্তু শক্তিশালী এমপ্যাথী নয়. কেন ঐ ছবিতে ইউরোপীয় মানসিকতা দুলে উঠেছিল? কারণ ওখানে জামাকাপড় ছিল যেকোন সভ্যদেশের
মধ্যবিত্ত বাচ্ছাদের মতো. তারপর কি হল? ইউরোপীয় সেন্টু চাগিয়ে ফ্রীতে জায়গাজমি বাগিয়ে নিয়ে ইউরোপে ফ্রিতে গেঁড়েবসা শুরুকরল ওরা. এবং পরপর অগ্নিসংযোগ নারীনির্যাতন লুঠ খুনজখম. এখানেও ধান্দাটা সেম. প্রথম টার্গেট আপনার সিমপ্যাথি. পরের টার্গেট আপনার জানা মাল এবং পরিবার.
মোরাল অফ দ্য স্টোরি:

এক: সেন্টু খুব ভালোজিনিস, জায়গাবুঝে খেতেহয়
দুই: সাপের বাচ্চা সাপ ই হয়
তিন: আপনাকে অপাত্রে সেন্টু খাওয়ানোর দালালি করেই আন্তর্জাতিক মিডিয়াদের পেটচলে

নিন এবার সিদ্ধান্ত আপনার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.