তাহলে আজ ৩৩ বছর পর কেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জাতভিত্তিক জনগণনা করে ওবিসি সংরক্ষণ বাড়াতে বলছে?

গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরীদের সমস্যা তারা তাঁদের পূর্বপুরুষের ইতিহাস পড়েন না l গান্ধী পরিবারের শেষ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী রাজত্ব করেন ১৯৮৯ পর্যন্ত l ১৯৯০ তে জনমোর্চা সরকার ওবিসি সংরক্ষণ আনে l এই সরকার বিজেপির সমর্থনে সরকারে ছিল l নেহেরু, ইন্দিরা এবং রাজীব গান্ধী ওবিসি সংরক্ষণের বিরোধী ছিলেন l ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৯০, সংসদে ওবিসি সংরক্ষণের সম্পূর্ণ বিরোধীতা করেন তৎকালীন লোকসভার বিরোধীনেতা রাজীব গান্ধী l কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধীতার পরেও পাশ হয় মণ্ডল কমিশন l

তাহলে আজ ৩৩ বছর পর কেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জাতভিত্তিক জনগণনা করে ওবিসি সংরক্ষণ বাড়াতে বলছে?

উত্তর ‘পশ্চিমবঙ্গ মডেল’ l আবার পশ্চিমবঙ্গ প্রমান করছে WHAT BENGAL THINKS TODAY, INDIA THINKS TOMORROW’ l

এখন কি সেই মডেল?

১৯৯০ তে মণ্ডল কমিশনে থাকা হিন্দুদের বাদ দিয়ে সংখ্যালঘুদের সেই সংরক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়েছে আমাদের রাজ্যে l বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন, গন সংগঠন এবং বুদ্ধিজীবিদের ব্যাবহার করে হিন্দু ওবিসিদের আজও তালিকা থেকে বাদ রেখেছে আমাদের রাজ্য l সংখ্যালঘুদের যাতে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চাকরি না পেতে হয়, তাই ওবিসি এ এবং বি দুটো আলাদা ভাগ করে সংরক্ষণের মধ্যে বিশেষ সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করা হয়েছে l

এই নীতি সারা ভারতে চালু করে অন্যান্য রাজ্যের হিন্দু ওবিসিদের সংরক্ষণের পরিমান কমিয়ে সংখ্যালঘুদের পাইয়ে দেয়াওই উদ্দেশ্য l সঙ্গে হিন্দু ওবিসিদের একাংশকে যদি ভুল বুঝিয়ে হিন্দু সমাজে বিভাজন তৈরি করা যায়, তবে সেটা উপরি পাওনা l কারণ নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার আর কোন রাস্তা নেই l এই ইস্যু এক ঢিলে যদি দুই পাখি মারে, সেই অপেক্ষায় গান্ধী পরিবার l সংখ্যালঘুদের এক করো এবং সংখ্যাগুরুদের ভাগ l

সুদীপ্ত গুহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.