গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সকে হাতিয়ার করে নিয়ে আবার তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএম কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শুরু করেছে l আনন্দবাজার প্রথম পাতায় অর্ধসত্য খবর ছেপে তাদের উৎসাহ দিছে l বাকী খবরটা কি এবং এই সূচক কতটা গ্রহণযোগ্য একবার বিচার করা যাক
১. ২০০৪ সালে, অটলজি যখন প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়লেন, তখন ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৩৮.৮ l ২০১৪ এ যখন মনমোহনজি ছাড়লেন তখন ২৮.২ এবং ২০২৩ এ ২৯.১ l. তাহলে কিভাবে ২০১৪ তে ৫৪ থেকে এখন ১০৭ হল? কারণ ২০১৪ তে ৪০ টি উন্নত ইউরোপ আমেরিকার দেশকে অন্তর্ভূক্ত করা হয় l ৪০ টা জায়গা তো তারাই নিয়ে গেছে?
২. এই পরিমাপে ২/৩ ভাগ শিশুদের নিয়ে এবং ১/৩ ভাগ বড়দের l ক্ষুধার সূচকে ৬৬.৬৬% কিভাবে শিশুরা আসে?
৩. বাকী ১/৩ ভাগ বয়স্ক l এখানে মহিলা এবং পুরুষ কিভাবে এক হয়? পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে মহিলা এবং পুরুষকে এক মাপদন্ডে বিচার করা যায় পুষ্টির বিচারে? আর ১৪০ কোটির দেশে মাত্র ৩০০০ প্রাপ্তবয়স্কদের তথ্য নেয়া হলে সেটা কিভাবে পুরো জনসংখ্যাকে বোঝাবে?
৪. শিশুদের ২/৩ এর মধ্যে ১/৩ এ শিশু মৃত্যু নিয়ে l এই হার গত ২০ বছরে আধা হয়ে গেছে l তাহলে কিভাবে ভারতের নম্বর কমে?
৪. বাকী ১/৩ ভাগ, একটা বাচ্চার উচ্চতা এবং ওজন নিয়ে l আফগানিস্তান বা গাঁজার বাচ্চার থেকে কম উচ্চতা এবং ওজন ভারত, চীন বা জাপানের বাচ্চার l এমনকি বিড়লা বা আম্বানির বাড়ীর বাচ্চার ওজন ওদের থেকে কম l ওজন বেশী হলে বরং সন্দেহের বিষয় l তাহলে কিভাবে এমন এক সূচক থাকে?
এবার প্রশ্ন কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সিপিএমকে l মানে তৎকালীন UPA তথা আজকের I. N. D. I. A জোটের শরিকদের l এই সূচক যদি আপনাদের কাছে প্রশ্নতীত হয়, তবে বলুন ২০০৪ থেকে ২০১৪ দশ নম্বর কমলো কিভাবে?
সুদীপ্ত গুহ