এই লড়াইয়ে ইজরায়েলের পক্ষে তারা আসলে মানবতার পূজারী, আর তাদের বিপক্ষে যারা তারা এক একটি পোটেনশিয়াল রেপিস্ট, খুনী


হামাসের সমর্থনে দেখলাম আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির “ছাত্ররা” মিছিল বার করেছে। মিছিলের স্লোগান, “তেরা মেরা রিস্তা কেয়া, লা ইলা হা ই ল্লা হ”।

হামাসের সমর্থনে হঠাৎ মিছিল কেন? কারণ তাদের মতে হামাস বিশাল বিপ্লব করে ফেলেছে।

বিপ্লবের ধরণটা ঠিক কিরকম?

একটা ভিডিওতে দেখলাম এক হামাস জঙ্গী একটি চার পাঁচ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে তাকে মলেস্ট করছে এবং রীতিমতো গর্বিত ভঙ্গীতে তা ভিডিও করেছে।

আরেকটি ভিডিও, এক ইজরায়েলি মহিলা, তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে ছুটির দিনে আউটিঙে গেছিল। তাকে অপহরণ করে প্রায় নগ্ন করে পিটিয়ে মারা হচ্ছে। এমনকি মৃতদেহে পরিণত হওয়ার পরেও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে হাজার হাজার বীরপুঙ্গব।

আরেকটি ভিডিও, একটি গাড়িতে তিনটি নাবালিকা বসে আছে।বীরপুঙ্গবরা তাদের টেনে বার করে এনে ছিঁড়ে খাচ্ছে।

আরেকটি ভিডিও, পাঁচ ছয়টি এক থেকে দুই বছরের শিশুকে একটি খাঁচায় আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে।

আয়লান কুর্দী নিয়ে যারা মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে হাহাকার করেছিল আজ তারা হামাসের “স্বাধীনতার” লড়াই নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কিন্তু কাল যখন ইজরায়েল পাল্টা দেবেন তখন দেখবেন এদের হাহাকার।

আরও এরকম অগণিত ভিডিও হামাস ছড়িয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাদের ক্ষমতার নিদর্শন জাহির করতে।

আর তাতেই একদল তাদের সমর্থন দিতে নেমে পরেছে। আলিগড় থেকে লন্ডন, তারা উল্লসিত।তারা উল্লসিত অসহায় শিশু, নারীদের উপরে অত্যাচার হতে দেখে। কারণ ঐ শিশু, নারীরা কা ফে র। তারা সবাই একই সম্পর্কে সম্পর্কিত, “তেরা মেরা রিস্তা কেয়া, লা ইলা হা ই ল্লা হ”।

সেই “রিস্তা” থেকেই কাশ্মীরের মাটিতে স্লোগান ওঠে, “কাশ্মীর বানাওন পাকিস্তান, বাতাও ভারিয়ে, বাতনায়ে সান”। অর্থাৎ কাশ্মীরি পন্ডিতরা কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাও, আর তোমাদের মেয়েদের আমাদের কাছে রেখে যাও।”।

আবার সেই রিস্তা থেকেই বাংলার মাটিতে স্লোগান ওঠে, “পাক পাক পাকি স্তান, হেঁদুর ভা তার মুস ল মান”।

মনে পরে গিরিজা টিক্কুর কথা, মনে পরে পূর্ণিমা শীলের কথা? বাংলা থেকে ইজরায়েল দিকে দিকে অসহায় মায়েদের হাহাকার শোনা যায়, “বাবারা তোমরা এক এক করে যাও”।

এরপরেও কিছু লোক আছে যারা এই রিস্তার সম্পর্কে আবদ্ধ।তারা বলে ইসমাইল হানিয়ে, বুরহান ওয়ানী, গোলাম সারওয়াররা নাকি স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে। অসহায় নারী শিশুদের উপর ধর্ষণ, অত্যাচারকে যারা মনে করে স্বাধীনতার লড়াই, তারা কি এক একজন পোটেনশিয়াল রেপিস্ট নয়? এই সমাজে কি তাদের কোন জায়গা আছে?

এক বামপন্হী নেতা দেখলাম লিখেছেন প্যালেস্টাইন পুরুষের জন্ম দেয়। দুঃখিত, অকারণ ঘৃণা, খালি ধর্ষকের জন্ম দেয়। ঠিক যেমন কাশ্মীরে দিয়েছে, বাংলাদেশে দিয়েছে, আফগানিস্তানে দিয়েছে, সিরিয়ায় দিয়েছে, পাকিস্তানে দিয়েছে। যারা যারাই “লা ইলা হা ইল্লা লাহর” রিস্তায় জুড়েছে, তারা সবাই ধর্ষকের, খুনীর জন্ম দিয়েছে। ৯/১১ এর আমেরিকা, ২৬/১১ এর মুম্বাই, ৭/১০ এর ইজরায়েল তার সাক্ষ্য দেয়।

মনে আছে ঢাকার হোলি আর্টিজান হামলার কথা? তারিশি জৈনকে মাথার ঠিক মাঝ বরাবর গুলি করে মারা হয়েছিল সে কো রা নের সুরা বলতে পারেনি বলে।

ইজরায়েল আজ যে লড়াই লড়ছে তা আসলে মানবতা রক্ষার লড়াই। সমগ্র মানবজাতির ভবিষ্যত এই লড়াইয়ের উপরে নির্ভর করছে। আজ যা ইজরায়েলে হচ্ছে কাল তা আমার আপনার মাটিতে হবে যদি হামাসকে আর হামাস সমর্থক তথাকথিত “গুড” মুস লিমদের সমূলে বিনাশ না করা হয়। প্যালেস্টাইন দেশটাই ম্যাপ থেকে মুছে দেওয়া দরকার। যাতে এরপরে কেউ অন্য কোথাও “রালিভ, গালিভ, চালিভ” বলার আগে নিজের মনেই শিউরে ওঠে।

এই লড়াইতে দুটো পক্ষ।একদিকে মানব সমাজ, আরেকদিকে রাক্ষস জাতি। মানবসমাজের কল্যাণেই রাক্ষসের বংশ ধ্বংস হওয়া দরকার। ইজরায়েল পুরো মানবসমাজের লড়াই একা লড়ছে।

যারা এই লড়াইয়ে ইজরায়েলের পক্ষে তারা আসলে মানবতার পূজারী, আর তাদের বিপক্ষে যারা তারা এক একটি পোটেনশিয়াল রেপিস্ট, খুনী।তাদের সভ্য সমাজে কোন জায়গা নেই।

IStandWithIsrael

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.