চলতি বছরে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থানে নেমে এল ভারত। ওই সূচক আরও বলছে, শিশুদের অপুষ্টির হার এ দেশে ১৮.৭ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। শিশুদের ওজনের সাপেক্ষে উচ্চতার অনুপাতের ভিত্তিতে এই হিসাব কষা হয়েছে। তাতে ভারতে চরম অপুষ্টির ছবিটিই প্রকট হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটিতে জানানো হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার এই সূচক প্রকাশিত হওয়ার পরেই তাকে ‘পদ্ধতিগত ভাবে ত্রুটিযুক্ত’ এবং ‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে খারিজ করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক।
২০২২ সালে এই সূচকেই ১২১টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০৭ নম্বরে। এ বার আরও চার ধাপ নীচে নামা ভারতকে টেক্কা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান (১০২), বাংলাদেশ (৮১), নেপাল (৬৯) এবং শ্রীলঙ্কা (৬০)।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এ দেশে পাঁচ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ। যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর খাবার জোটে না ১৬.৬ শতাংশ মানুষের। সেই সঙ্গে এ-ও বলা হয়েছে যে, ১৫ থেকে ২৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতায় ভোগেন ৫৮.১ শতাংশ।
যদিও কেন্দ্রের বক্তব্য, এখানে অপুষ্টির মাত্রা মাপা হয়েছে মাত্র ৩০০০ জনকে নিয়ে সমীক্ষা করে, যা ভুল। সরকারি ‘পোষণ ট্র্যাকার’ বলছে, এ দেশে শিশুদের অপুষ্টির হার একটানা ৭.২ শতাংশের নীচে রয়েছে। কংগ্রেস এই ‘দায় এড়ানো’ নিয়ে আক্রমণ করেছে মোদী সরকারকে।