প্রত্যাশা মতই কংগ্ৰেস সমর্থন জানিয়েছে প্যালেস্টাইনকে। একটা কারণ তাহলে মুসলিম ভোট বেশী পাওয়া যাবে। আরেকটি কারণ নরেন্দ্র মোদি উত্তর বললে রাহুল গান্ধীদের দক্ষিণ বলতে হবে। নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন ভারত ইজরায়েলের পক্ষে। তাই কংগ্ৰেসকে(তাদের জোটের আরো অনেকে) বলতে হয়েছে আমরা প্যালেস্তিনিয়দের পক্ষে।
যারা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে, শিশু,নারী,বৃদ্ধ সহ, কংগ্ৰেস তাদের পক্ষ নিয়েছে। হামাস এর পক্ষে সেটা প্রকাশ্যে বলাটা তো সম্ভব নয়। তাই ঘুরিয়ে প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করছি সেটা বলা। কিন্তু গাজা কাদের নিয়ন্ত্রণে ? হামাস গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত সরকার সেখানে ক্ষমতায়। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস এর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা দ্বিতীয় শক্তিশালী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী সেখানে কোনটি ? নাম ইসলামিক জেহাদ। হামাস ও ইসলামিক জেহাদ, এদের নিয়ন্ত্রণেই প্যালেস্টাইন।তারা সহযোগিতা পায় লেবাননের কট্টর গোষ্ঠী হিজবুল্লা থেকে। সিরিয়া ও ইরান থেকে। সেই ইরান যেখানে হিজাব না পরার জন্য মেয়েদের পুলিশ পিটিয়ে খুন করে। আর রাহুল গান্ধীরা খোলাখুলি সেই প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়েছে।
অনেক কংগ্ৰেস নেতা বলছে অটল বিহারী বাজপেয়ীও তো প্যালেস্টাইনের পক্ষে কথা বলেছিলেন। কিন্তু অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন প্যালেস্টাইন কি হামাসের নিয়ন্ত্রণে ছিল ? না। তখন প্যালেস্তাইনে পি এল ও র নিয়ন্ত্রিত সরকার ছিল। ইয়াসের আরাফতের সরকার।
এই পি এল ও বা প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন এর সাথে হামাস (ও ইসলামিক জিহাদ) দের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ভিন্ন। হামাস ইজরায়েল নামক কোন দেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। মানে ইজরায়েলের ধ্বংসই হামাসের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু পি এল ও র মনোভাব ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন, দুই পক্ষের অস্তিত্বকেই স্বীকার করতো। সেজন্যে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়ের প্যালেস্টাইন ও এখনকার প্যালেস্টাইন সম্পূর্ণ আলাদা সত্ত্বা।
এখনকার প্যালেস্টাইন হামাস ও ইসলামিক জেহাদ এর নিয়ন্ত্রণে যারা মানবতা ও সভ্যতার শত্রু।
কংগ্ৰেস তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেছে। সেই কংগ্ৰেস I,N,D,I,A জোটের নেতা।