দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ধীরে ধীরে কমবে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রমশ কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। পুজোর আগেই বর্ষা বিদায় হবে বলে জানানো হয়েছে।
সিস্টেম
এছাড়াও একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে যা বিহার ও উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা শুক্রবার ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে।
বর্ষা বিদায় রেখা রকসৌল, ডালটনগঞ্জ, বিজাপুরের উপর দিয়ে গিয়েছে। বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিশগঢ়, কর্নাটকের আরও কিছু অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নেবে আগামী ২৪ ঘন্টায়। আগামী দুদিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা থেকেও বর্ষা বিদায় পর্ব শুরু হবে। তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র থেকে আর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি বর্ষা বিদায় নেবে।
উত্তরবঙ্গ
আগামী ২৪ ঘন্টায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। কাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে ২-১ জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে আগামী কয়েক দিনে। ধীরে ধীরে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমবে এবং বৃষ্টিও কমে যাবে উত্তরবঙ্গে।
দক্ষিণবঙ্গ
আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। দু এক জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ হতে পারে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ আরও ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা বেশি থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সপ্তাহান্তে শুকনো আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
মহালয়ার দিন শনিবার মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। দক্ষিণা বাতাসের জায়গায় পুবের বাতাস ও উত্তরে বাতাস প্রভাব বিস্তার করবে।
কলকাতা
মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান ক্রমশ কমবে। আগামী দুদিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকলেও ধীরে ধীরে কমবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
তাপমাত্রার পরিসংখ্যান
কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি । গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি । বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৯ থেকে ৯১ শতাংশ।
ভিন রাজ্যে
আগামী ২৪ ঘন্টায় কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, করাইকাল, কেরল এবং মাহেতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দেশে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও দক্ষিণের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকলে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।