ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট পরে সমুদ্র সৈকতে ঘোরা যায়, কিন্তু মন্দিরে ওই পোশাক পরে আসা যায় না। এমনটাই দাবি পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের। অনেকেই মন্দির-উপযোগী পোশাক পরছেন না। তাই নতুন পোশাকবিধি আনতে চলেছেন তাঁরা। কোন ধরনের পোশাক পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরীর মন্দিরের প্রশাসনিক প্রধান রঞ্জন কুমার দাস জানিয়েছেন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকেই দর্শনার্থীদের পোশাকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কড়া ভাবে সেই নিয়ম যাতে পালন করা হয়, তা নিশ্চিত করবেন কর্তৃপক্ষ। মন্দিরে ছেঁড়া জিন্স, হাতাকাটা জামা অথবা হাফ প্যান্ট বরদাস্ত করা হবে না। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এমন পোশাকও পরা নিষিদ্ধ হবে পুরীর মন্দিরে।
রঞ্জন বলেছেন, ‘‘মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আজকাল অনেকেই মন্দিরে আসছেন ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা না ভেবেই। হাফ প্যান্ট, হাতাকাটা জামা পরে অনেককে মন্দিরে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। যেন তাঁরা সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মন্দির দেবস্থান, কোনও বিনোদনের জায়গা নয়।’’
আলোচনার মাধ্যমে পোশাকবিধি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে বলে স্থির করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের সিংহদ্বারে এবং ভিতরে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকবেন। তাঁরাই দর্শনার্থীদের পোশাকের দিকে নজর রাখবেন। কেউ আপত্তিকর পোশাক পরে এলে তাঁদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পোশাক নিয়ে সচেতনামূলক প্রচারও চালাবেন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক হিন্দু মন্দিরে গত কয়েক মাসে এই ধরনের পোশাকবিধি প্রযুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ধর্মীয় ভাবাবেগ এবং মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় জোর দিয়ে ছোট পোশাক পরতে নিষেধ করা হয়েছে। পুরীর মন্দিরও সেই পথে হাঁটতে চলেছে।