সাম্প্রতিক কয়েক দিন ধরে নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায়। সবংয়ের বিষ্ণুপুর, ভেমুয়া, মোহাড় প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকা জলের তলায়। এইসব এলাকা বেশ কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ ঘটিত বিপদ এড়াতেই আগাম বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর।
প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, সবংয়ের প্রায় সাতশোর অধিক পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। জল কমে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ। আবহাওয়ার উন্নতি হলেও, জমা জল নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। গ্ৰামবাসী বানেশ্বর মাইতি, আশিস মাইতি বলেন যে, প্রতি বছর বন্যায় আমদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খাবার, পানীয় জল কোনো কিছুই সঠিক ভাবে পাচ্ছিনা, রাস্তা ঘাট সব জলের তলায়, বাড়ি ঘর সব ডুবে গিয়েছে, সরকারের কোনো রকম সহযোগিতা নেই, বাড়ির ছেলে মেয়েরা স্কুল যেতে পারছে না।
সবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তরুণ মিশ্র জানান, এখনো প্রায় ৩০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন। ১৪৪৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ৯০০০ কাঁচা ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে। ৯৩৬০ হেক্টর ধান এবং পান চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। সবং ব্লকের ১৩টি অঞ্চল জলের তলায়, ৩০০ হেক্টর মাস চাষ নষ্ট হয়েছে। ৪২,৪৫০ জন মৎস্য, পান ও ধান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গ্ৰামীন সড়ক এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূল সড়কের সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় কেলেঘাই কপালেশ্বরি পরিকল্পনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তারফলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং রেল শহর খড়্গপুরের জল সবই সবংয়ের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় এবছর এই রকম পরিস্থিতিতে সবং জলের তলায়।