দাপুটে জয়েই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টিম ইন্ডিয়া (Team India)। রবিবাসরীয় এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে (MA Chidambaram Stadium, Chepauk, Chennai) হয়ে গেল ভারত-অস্ট্রেলিয়া মহারণ। ৩৩ হাজার ১৯০ জন দর্শকের সামনে ভারত ছয়ে উইকেটে দারুণ জয়। কাপযুদ্ধে প্রথম জয়ের নেপথ্যের কারিগর হয়ে থাকলেন রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja), বিরাট কোহলি (Shreyas Iyer) ও কেএল রাহুল (KL Rahul)। এদিন কোহলি ব্য়াট হাতে ১১৬ বলে ৮৫ (ছ’টি চার) রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে রাহুলের সঙ্গে ২১৫ বলে ১৬৫ রান যোগ করেন। এদিন কোহলির ব্যাটে একের পর এক রেকর্ড ভাঙল। তিনি ছাপিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকেও (Sachin Tendulkar)।
আইসিসি-র সাদা বলের টুর্নামেন্টে ভারতীয়দের মধ্যে এতদিন সবচেয়ে বেশি রান ছিল সচিন তেন্ডুলকরের। ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’কে ছাপিয়ে গেলেন বিরাট। সচিনের ৬১ ম্যাচে ছিল ২৭১৯ রান। কোহলি ৬৭ ম্যাচে ২৭২০ রান পার করে গেলেন। কোহলি এই নজির গড়েছেন ৬৫.২৩-এর গড়ে। তাঁর ঝুলিতে আছে জোড়া সেঞ্চুরি ও ২৫টি অর্ধ-শতরান।
অন্য়দিকে সচিনের গড় ছিল ৫২.২৮। সাতটি সেঞ্চুরি ও ১৬টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। মাথায় রাখতে হবে কোহলি এই মাইলস্টোন স্থাপন করেছেন আইসিসি-র তিনটি মেজর টুর্নামেন্টে খেলে। যার মধ্যে রয়েছে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ। সচিন কিন্তু কখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেননি।
এদিন কোহলি রান তাড়া করে ভারতকে জেতানোর ক্ষেত্রেও সচিনকে ছাপিয়ে গেলেন। রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে জেতানোর ক্ষেত্রে সচিনের পরিসংখ্যান ১২৪ ইনিংসে ৫৪৯০ রান। সেখানে কোহলি ৯২ ইনিংসে ৫৫১৭ রান করে ফেললেন।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, তিনে ব্য়াট করতে নেমে দ্রুততম ১১ হাজার রান করার রেকর্ড করে ফেললেন কোহলি। আন্তর্জাতিক পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে তিনে ব্যাট করতে নেমে সবচেয়ে বেশি রান রয়েছে রিকি পন্টিংয়ের। তিনি ৩৩০ ইনিংসে করেছেন ১২ হাজার ৬৬২ রান।
প্য়াট কামিন্স এদিন টস জিতে প্রথমে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন মিচেল মার্শ। তবে ম্য়াচের তৃতীয় ওভারে এসেই অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। মার্শকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন জাতীয় দলের এক নম্বর পেসার। বুমরার বাইরের দিকে যাওয়া বলে খোঁচা দেন মার্শ। প্রথম স্লিপে তখন মোতায়েন ছিলেন বিরাট কোহলি। বাজ পাখির মতো ঝাঁপিয়ে এক হাতে অসাধারণ ক্যাচ নেন। মার্শ হাফ ডজন ডেলিভারি খেলে, খালি হাতে ফিরে যান কোনও রান না করেই। কোহলি ক্যাচ নেওয়ার পরেই চিপকে গ্যালারি ফেটে পড়ে। এদিন কোহলি এই ক্যাচ নেওয়ার সঙ্গেই করে ফেলেন বিশ্বকাপে অনন্য রেকর্ড। এর আগে অনিল কুম্বলে (১৪), কপিল দেব (১২) ও সচিন তেন্ডুলকররা (১২) ছিলেন তালিকায়। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার দেখতে দেখতে নিয়ে ফেললেন ১৫টি ক্য়াচ।