নিজের অবসরকালীন পাওয়া সমস্ত টাকা দিয়ে নৈহাটির মাদরালে তৈরি করেছেন তার স্বপ্নের টেবিল টেনিস অ্যাকাডেমি

অনেক লড়েও এশিয়ান গেমসের ফাইনালে উঠতে পারলেন না ভারতের সুতীর্থা মু‌খোপাধ্যায় ও ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। টিটি মহিলাদের ডাবলসের সেমিফাইনালে উত্তর কোরিয়ার জুটির কাছে হারলেন তাঁরা। টান টান সেমিফাইনালে সাত গেমে হল ম্যাচের ফয়সালা। ৩-৩ অবস্থায় শেষ গেমে হারলেন সুতীর্থারা। সোনা-রুপো হাতছাড়া হলেও ব্রোঞ্জ পেলেন দুই বাঙালি মেয়ে। ভারতের প্রথম মহিলাদের ডাবলস জুটি হিসাবে এশিয়ান গেমসে পদক পেলেন তাঁরা।

নীচের মানুষটিকে চেনেন ? না চেনাই স্বাভাবিক । তিনি সুতীর্থা মু‌খোপাধ্যায় ও ঐহিকা মুখোপাধ্যায়-দের কোচ শ্রী মিহির ঘোষ । নিজের অবসরকালীন পাওয়া সমস্ত টাকা দিয়ে নৈহাটির মাদরালে তৈরি করেছেন তার স্বপ্নের টেবিল টেনিস অ্যাকাডেমি।

কত ছেলে মেয়ে রোজ ট্রেনিং নিচ্ছে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। রোজই বাড়ছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পদক জয়ীদের লিস্ট। মিহির ঘোষের স্ত্রী এবং পুত্র দুজনেই খ্যাতনামা টেবিল টেনিস প্লেয়ার। কোনও রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক সাহায্য সেভাবে পান না মিহিরবাবু । এমনকি প্র্যাকটিসের মাঠে (ফিজিকাল করবার জন্যে, অ্যাকাডেমি সংলগ্ন মাঠ) কয়েকটা লাইটও লাগাতে পারেননি অর্থের ওভাবে। তাও চলছে মিহিরবাবুর যুদ্ধ । আজ সারা ভারত যখন বঙ্গ কন্যাদের সাফল্যে গর্বিত । আমি নিশ্চিত মিহির বাবু ও ওনার স্ত্রী টিটি বোর্ডের পাশে দাড়িয়ে আগামী দিনের প্রতিভাদের ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছেন।

মিহিরবাবুর মত সমস্ত মানুষ, যারা নিজেদের জীবন খেলার উন্নতিতে উৎসর্গ করে দিলেন, তাদেরকে আমার বিনম্র নমস্কার। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন মিহিরবাবু । আরো অনেক অনেক সুতীর্থা ঐহিকারা অপেক্ষায় আছে আপনার ওখানে, তারাও আপনার পরিশ্রমের উপযুক্ত প্রতিদান দিক, এটাই কামনা করি।

একরাশ শুভেচ্ছা অভিনন্দন রইল মিহিরবাবুকে ।

তথ্য ও ছবি সৌজন্যে নবাব ভট্টাচার্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.