জঙ্গি সংগঠন প্রেপাক (পিপলস রেভলিউশনারি পার্টি অব কাংলেইপাক) সমর্থন জানাল লন্ডন থেকে দাবি করা মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের স্বাধীনতাকে। এর জেরে নতুন করে পরিস্থিতি গরম।
পৃথক নাগালিমের দাবি নিয়ে সরকার ও নাগা সংগঠনগুলির মধ্যে শান্তি আলোচনার মাঝেই নির্বাসিত রাজা হিসেবে মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের প্রধানকেই সমর্থন করা হচ্ছে। তবে প্রেপাক সশস্ত্র পথ ছাড়বে না।
গত ২৯ অক্টোবর লন্ডনে সাংবাদিক বৈঠক করেন, মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের সদস্যরা। সেই বৈঠকেই মণিপুরের স্বাধীনতা চেয়ে দাবি তোলা হয়। সেই দাবি ঘিরে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের রাজ্যগুলিতে ছড়ায় আলোড়ন। পরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পুরো বিষয়টিকে ভারত বিরোধী বলেছেন।
এদিকে প্রেপাক সরাসরি সেই স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করায় চিন্তিত সরকার। কারণ সংগঠনটি বারবার নাশকতা চালিয়েছে মণিপুরে।
বিবৃতিতে জঙ্গি সংগঠনটি জানিয়েছে, ভারত থেকে মণিপুরের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং লন্ডনে ২৯ অক্টোবর মণিপুর স্টেট কাউন্সিল নামে প্রবাসী সরকার গঠনের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে প্রেপাক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ১৯৪৯ সালে মণিপুরকে ভারতের সাথে যুক্ত করার পর থেকেই বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছে। প্রেপাক সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করে, তবু তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মণিপুরের স্বাধীনতা চাওয়াকেও সমর্থন করছে।
সংগঠনটির দাবি, ১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জবরদস্তি মণিপুরের রাজা বোধাচন্দ্রকে দিয়ে ভারতের সাথে মণিপুরকে সংযুক্তের চুক্তিতে সই করানো হয়। এর প্রতিবাদে আন্দোলন চলবে।
সূত্রের খবর প্রেপাকের এই বার্তায় আরও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি নিজেদের মতো করে হুমকি দিতে শুরু করবে। মণিপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে উদ্বেগ। আশঙ্কা জঙ্গি হামলা হতেও পারে।
এমনিতেই নাগা শান্তি আলোচনায় বৃহত্তর নাগালিমের দাবি উঠেছে। সেই দাবিতে মণিপুরের একটি অংশকে কেটে নাগালিমের অন্তর্ভুক্তির সেই দাবিতে উত্তপ্ত মণিপুর। নাগা ও মণিপুরিদের মধ্যে সংঘাত ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।