পুলিসি হেনস্থার মুখ পড়তে হচ্ছে ইডি আধিকারিকদের। এমনই অভিযোগ শুনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে কলকাতা পুলিস বা রাজ্যের কোনও সংস্থা হেনস্থা করতে পারবে না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ হাইকোর্টে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেনভি। তাঁর কথা শোনার পরই ওই রায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া সিটের প্রধান বা কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। কোথায় কোনও অভিযাগ করা যাবে না। নিম্ন আদালতও কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। জানতে পেরেছি সিবিআই বিশেষ আদালতের এক বিচারক হেফাজতে থাকা এক অভিযুক্তের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিসকে ওই মামলায় যুক্ত করেছে। কে তাকে ওই অধিকার দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিট গঠন হয়েছে। তার কাজে হস্তক্ষেপ কেন? সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে। কিন্তু তাঁকে এখনও পর্যন্ত বদলি করা হয়নি কেন? কার হাত তার মাথায় রয়েছে? আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে বদলি করতে হবে। নতুন করে বিচারক নিয়োগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, সিটের প্রধান অশ্বিন শেনভিকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ইডি কি আজ কোনও ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে? আপনি বা আপনাদের আধিকারিকরা কি কোনওভাবে কোথায় কোনও বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন? ওই প্রশ্ন শুনে সিট প্রধান বলেন, কুন্তল ঘোষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। ওই কথা শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এদিন মুখ্যসচিবের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ যেন সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করেন সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকার্ষণ করুন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে চলতে হবে।