নদী বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ঘরের বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে চাষের। খবর পেয়ে এলাকায় যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে তারা গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রসাদপুর ও বারুনিঘাটার মাঝে ব্রাহ্মণী নদীতে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে এলাকার নদীর বাঁধ প্রায় ৫০ মিটার ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রসাদপুর, কুন্দপাড়া, কামালপুর, বারুণীঘাটা, সাহেবনগর, ছেতুনকান্দি, কৃষ্ণপুরের, বলরামপুর সহ বেশ কিছু গ্রাম এখনো জলমগ্ন।
প্রসাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাগরিকা সেনগুপ্ত, দেবব্রত মণ্ডলরা বলেন, “সন্ধ্যা থেকেই নদী বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকতে শুরু করে। বাঁধ ভাঙ্গার খবরে আমরা ২০০০ সালের ভয়াবহ আতঙ্কে ভুগতে শুরু করি। সারারাত বাড়িতে কেউ ঘুমোয়নি। গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে বাড়ির নিচের জিনিসপত্র একটু উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। জল দ্রুত নেমে না গেলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে”।
পঞ্চায়েত প্রধান সাহিনা খাতুন বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু বাঁধের ধারে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। রবিবার ফের জল বাড়তে শুরু করেছে। আমরা গ্রামের মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি”।
বাঁধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে যান জেলা শাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা শাসক সাদ্দাম নাভাস, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী। অন্যদিকে রবিবার সকালে এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা সাব্বির হুসেন, বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। রাত থেকেই এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা কাজ করে চলেছেন।
বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী বলেন, “দুদিনের অতি বৃষ্টির কারণেই নদিতে জল বেড়েছে। জল বাড়তে থাকায় বাঁধ সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। তবে জল নেমে গেলেই ধ্রুত গতিতে বাঁধ সংস্কার করা হবে। যাদের মাটির বাড়ি রয়েছে তাদের আমরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি”।