কানাডাকে বড় ধাক্কা! ভিসা পরিষেবা বন্ধ করা সহ ভারত থেকে সেদেশের কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে নেওয়ার বার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করলো ভারত। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।খালিস্তানি জঙ্গি নেতা খুনের ঘটনায় চাপাউতরের মধ্যে কানাডাকে জোর ধাক্কা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে দেশ থেকে কানাডার কূটনৈতিক আধিকারিকদের সংখ্যা কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

কয়েকদিন আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। কানাডার নাগরিক খালিস্থানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের পর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এর পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। তারপরেই কানাডা থেকে বহিষ্কার করা হয় সে দেশের ভারতের গোয়েন্দা প্রধানকে। এমনকি আমেরিকা সহ বেশ কয়েকটি বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে ভারতের নিন্দার করার আবেদন জানায় কানাডা। টুডোর এই অভিযোগকে অবান্তর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককেও দেশ থেকে চলে যেতে বলা হয়। দু’ দেশই নিজেদের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশমন্ত্রী জয় শংকর বৈঠকে বসেন। তারপরেই বৃহস্পতিবার জানা যায়, ভারতে কানাডা নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জানাগেছে, আপাতত বন্ধ থাকবে ভিসা দেওয়ার পরিষেবা।

এরপর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন,
ইতিমধ্যে যাদের ভিসা রয়েছে তারা ভারতে আসতে পারবেন, কিন্তু নতুন করে ভিসা দেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। কূটনৈতিকদের প্রসঙ্গে বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ভারত। আশা করা হচ্ছে কানাডায় থাকা ভারতের কূটনীতিকদের
প্রতিও একই আচরণ করবে সে দেশের প্রশাসন।

কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ইতিমধ্যেই তাদের জন্য বিশেষ সর্তকতা জারি করা হচ্ছে। কোনো সমস্যায় পড়লে তারা ভারতীয় দূতাবাসের যোগাযোগ করতে পারেন। একই সঙ্গে কূটনীতিকদের সংখ্যা কমানোর বার্তা দিতে গিয়ে বাগচী বলেন, কানাডায় ভারতীয় হাই কমিশনের যত জন কূটনীতিক রয়েছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি কূটনীতিক রয়েছেন ভারতে কানাডার হাইকমিশনে। আশা করি এবার সেই সংখ্যা কমানোর কথা ভাববে কানাডার প্রশাসন।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, কানাডার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে কানাডা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজের অবস্থান নিয়ে কানাডার চিন্তিত হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.