ছাত্রমৃত্য়ু নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন-সহ বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রাক্তনদের হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে। এবারে সব হস্টেলের পড়ুয়াদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাত দশটার পর বন্ধ হয়ে যাবে হস্টেলের গেট। সকাল ছটার পর ফের তা খুলে দেওয়া হবে। যদি কেউ রাত দশটার পর হস্টেলে ঢুকতে চায় তাহলে তাকে নিতে হবে হস্টেল সুপারের অনুমতি। আত্মীয়দের ঢুকতে গেলে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। হস্টেলের গেটে নাম পরিচয়পত্র দিতে হবে।
ডিন অব স্টুডেন্টসের তরফে ওইসব নির্দেশিকার ভাষা বেশ কড়া। গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠেছিল কীভাবে হস্টেলে প্রাক্তনিরা থাকতে পারে। হস্টেলের গেট কীভাবে খোলা থাকে, বাইরের লোকজন অবাধ প্রবেশাধিকার কীভাবে পায়। তারই পরিপ্রেক্ষিত এই নির্দেশিকা। ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সব হস্টেলের জন্য। কেউ যদি হস্টেলের কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসনে তাহলে তিনি যে সরাসরি হস্টেলে চলে যাবেন সেটা আর হবে না। সেক্ষেত্রে যিনি দেখা করতে আসবেন তাঁরে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র নিয়েই হস্টেলে ঢুকতে হবে। হস্টেলে ঢোকার সময়ে তা গেটে তাঁর পরিচয় নথিভূক্ত করতে হবে।একটি নির্দিষ্ট ঘরেই গেস্টরা পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই র্যাগিং রুখতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দফতর।
রাজ্য ও জেলাস্তরে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি গঠন করতে হবে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও মনিটরিং সেল।
কর্তৃপক্ষ নিষ্ক্রিয় থাকলে অভিযো খতিয়ে দেখবে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি
ভর্তির সময়ে র্যাগিং না করার হলফনামা দিতে হবে
র্যাগিং বিরোধী প্রচার চালাবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি