Hilsa Import: অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে বাঙালির পাতে আসছে পদ্মার ইলিশ

অবশেষে কাটল এগ্রিমেন্ট ও ট্রেড লাইসেন্স জটিলতা। সম্ভবত বুধবার বিকেল বা রাতেই পশ্চিমবঙ্গে রওনা হচ্ছে পদ্মার ইলিশ।

কথা ছিল রান্না পুজোর আগেই তার দেখা মিলবে। আশায় বুক বাঁধা বাঙালি ১৭ সেপ্টেম্বর বাজারে গিয়েও তার দেখা পায়নি। অবশেষে তার ৭২ ঘন্টা পর কাটল জটিলতা। এগ্রিমেন্ট সই সাবুদের পর এবার পাতে বাংলাদেশের ইলিশ পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৭০ জন ভারতীয় আমদানিকারকের হাত ধরে ২১ থেকে ২৫টি কনসাইনমেন্টে বুধবার বিকেল বা বৃহস্পতিবার সকালেই সীমান্ত পেরোতে চলেছে পদ্মা মেঘনার ইলিশ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সদস্যের একটা বড় অংশ জি২০ সামিটের জন্য ভারতে এসেছিলেন। ফলে পূর্বাভাস থাকলেও ১৬ সেপ্টেম্বরের ইলিশ রফতানির সরকারি সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়েনি।

রান্না পুজোর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ঢোকেনি ইলিশ। সঙ্গে দোসর ছিল ট্রেড লাইসেন্স সংক্রান্ত কিছু জটিলতা। সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে দুই থেকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ধাপে ধাপে মোট ২১ থেকে ২৫টি আলাদা কনসাইনমেন্টে মোট ৩৫০০ থেকে ৪০০০ মেট্রিক টন ইলিশ এই রাজ্যে ঢুকবে ভাইফোঁটা পর্যন্ত।

ভারতে এবার ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে হাসিনা সরকার। এর মধ্যে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যাচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ মেট্রিক টন ইলিশ। বাকি পুরোটাই এই রাজ্যের বাঙালির পাতে।

২০২২ সালে ৩৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল অক্টোবরে। ফলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে এই দেশের আমদানিকারীরা শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পেরেছিলেন মাত্র ৩০০০ মেট্রিক টন। এবার জুলাই থেকেই তাই আমদানিকারীদের চেষ্টা ছিল বেশি সময় ধরে বা সময় এগিয়ে এনে ধাপে ধাপে গোটা কনসাইমেন্ট ঘরে তোলার। দু’দিন দেরি হলেও, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা ষোলো আনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.