পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২, আগ্নেয়াস্ত্র, মোটর সাইকেল, অলংকার ও নগদ টাকা উদ্ধার

 পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২ দুষ্কৃতী। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, মোটর সাইকেল সহ অলংকার ও নগদ টাকা। আজ পুরুলিয়া শহর লাগোয়া বেলগুমা পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জি ধৃত তিন দুষ্কৃতীকে সংবাদ মাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও উদ্ধার হওয়া অলংকার, নগদ টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে পুলিশ।

জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “আমাদের তদন্তকারি দল ও পুলিশ আধিকারিকরা নিরলস পরিশ্রম করে এই সাফল্য অর্জন করছেন। উদ্ধার হওয়া অলংকার যে সংশ্লিষ্ট স্বর্ণ বিপনির তা আরও নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করছি।” গতকাল একজনের পর আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে সাফল্য পেল পুলিশ। সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আজ আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। এই নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৫। ধৃতদের আগামীকাল জেলা আদালতে তোলা হবে। উদ্ধার হয়েছে লুঠ হওয়া সোনা ও হীরের অলঙ্কার। উদ্ধার হয়েছে মোট এক কোটি টাকার অলংকার ও নগদ ৩৬ লক্ষ টাকা, যা অলংকার বিক্রির টাকা বলে মনে করছে পুলিশ। ১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও লুঠের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটর সাইকেলও উদ্ধার হয়।

পুলিশ সুপার জানান, ধৃত দুষ্কৃতীদের নাম ওমপ্রকাশ প্রসাদ ওরফে গুড্ডু, ডাবলু কুমার সিং বর্তমানে বিহার শরিফের বাসিন্দা সে। ঝাড়খন্ডের জোড়াপুকুর থানার ভাওরা এলাকায় তার বাড়ি ছিল। ওমপ্রকাশ নিজে উপস্থিত থেকে গোটা ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেয় বলে পুলিশের দাবি। সে শহরের একটি লজে থেকে সব কিছু রেইকি করে। রবিবার তাদের পুরুলিয়ার জয়পুর থানার ঘাঘরা থেকে ধরা হয়। তাদের জেরা করে পুরুলিয়া শহরের একটি লজ থেকে নগদ ছত্রিশ লক্ষ টাকা সমেত প্রায় এক কোটি টাকার সোনা ও হীরের অলঙ্কার পাওয়া যায়। এই বিশাল নগদ টাকা কিছু গয়না বিক্রি করে গুড্ডু পেয়েছিল বলে খবর।

গত ২৯ আগস্ট পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়া এলাকায় ১টি সোনার বিপনি থেকে ৭জনের দুষ্কৃতী দল লুটপাট চালায়। যাওয়ার আগে বিপনির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায় তারা। ঘটনায় প্রায় ৮কোটি টাকার সোনা ও হীরের সামগ্রী লুঠ করে বলে ওই বিপণি কর্তৃপক্ষের দাবি। এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রথমে দিল্লি থেকে ১জন ও পরে বিহার থেকে ১জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গত রবিবার অজয় যাদবকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ। আদালত থেকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ৩ জন দুষ্কৃতীর লুঠ ও ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পায় পুলিশ। তারপরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে। নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড ঝাড়খন্ডের একটি সংশোধনাগারে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.