বধূ নির্যাতনের মামলায় প্রথম বার আদালতে হাজিরা দিলেন মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপের আগে মঙ্গলবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন ভারতীয় ক্রিকেটার। সঙ্গে ছিলেন শামির দাদা মহম্মদ হাসিমও। দু’জনেই জামিনের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে দু’জনকেই জামিন দিয়েছেন।
শামির আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, ‘‘শামি ও তাঁর দাদা হাসিম আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। ওঁরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে।’’ সেলিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নাজমুল আলম সরকার।
গত ২৩ অগস্ট আলিপুর অতিরিক্ত দায়রা বিচারক নির্দেশ দেন,হাসিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শামিকে তলব করার পিছনে কোনও প্রয়োজনীয় কারণ খুঁজে পায়নি আদালত। তাই তাঁকে কোর্টে হাজিরা দিতে হবে না। তবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই মামলার পরবর্তী বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারকে ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে তিনি জামিনের আবেদন করতে পারবেন। আইন মোতাবেক শামির জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রায়াল কোর্ট। এই নির্দেশ মেনেই আদালতে হাজিরা দেন শামি।
২০১৮ সালের ৮ মার্চ শামি এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় এফআইআর করেন হাসিন। ২০১৯ সালের ২৯ অগস্ট শামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আলিপুরের এসিজেএম কোর্ট। ওই বছর ৯ সেপ্টেম্বর আলিপুর জেলা দায়রা আদালত ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। এই অবস্থায় প্রায় চার বছর ধরে মামলাটি সেখানে বিচারাধীন রয়েছে। পরে জেলা দায়রা বিচারকের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন হাসিন। বিচারপতি শম্পা সরকার নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখলে ক্রিকেটারের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টে যান। গত মাসে শীর্ষ আদালত জানায়, এক মাসের মধ্যে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে দায়রা বিচারককে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে। সেই মতো জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আলিপুর জেলা আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। সেই মামলার শুনানিতেই শামিকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর করা মামলার এর আগে আগাম বা অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেননি শামি। আইনজীবীদের মতে, অন্তর্বর্তী জামিনের জন্য জেলা দায়রা বিচারক, হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে তাঁকে সশরীরে যেতে হত না। কিন্তু ট্রায়াল কোর্ট থেকে জামিন নিতে গেলে তাঁকে সশরীরে আদালতে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। তাই এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরেই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন পেলেন ভারতীয় ক্রিকেটার।