আদিবাসী শিশু কন্যাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পুলিশের জালে এক তৃণমূল শিক্ষক নেতা। রবিবার সকালে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই ওই শিক্ষক নেতাকে আটক করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ঘটনাকে ঘিরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকায়।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম তপন বসাক। বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা সে। এদিন সকালে শিশু কন্যার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষক নেতাকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
জানা যায়, রোজকার মতো শনিবারও প্রায় পাঁচ বছর বয়সী ওই আদিবাসী শিশু কন্যাটি অনান্য খুদে পড়ুয়াদের সাথে স্কুলে এসেছিল। বয়স না হলেও স্কুলে আসবার নেশা থেকেই এলাকার ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে স্কুলে আসত সে। ওইদিন বিদ্যালয় ছুটির পর অভিযুক্ত শিক্ষক তপন বসাক ছোট্ট ওই খুদে পড়ুয়াকে ডেকে যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। ঘটনা জানবার পরেই রবিবার সকালে বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই খুদে স্কুল পড়ুয়ার মা। যে অভিযোগ পেয়েই ওই শিক্ষককে আটক করে ঘটনার তদন্তে নামে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
এদিকে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বালুরঘাট শহরজুড়ে। যদিও ওই শিক্ষক তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের সাথে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা।
যদিও নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির নেতা শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের একটি সার্কেলের দায়িত্বে রয়েছেন তপন বসাক। তবে এক্ষেত্রে দলের কোনো বিষয় নয়। শিক্ষকরা সমাজ তৈরির কারিগর। তাদের এধরনের কর্মকান্ডের জেরে শিক্ষকদের উপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছে। ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর সাজা হওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানিয়েছেন, একজন শিক্ষকের কাছে এধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।