নানা ভাবে বিপর্যস্ত আর জি কর। এখন সেখানে প্রাক্তন বনাম বর্তমান– দুই অধ্যক্ষের লড়াইয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো। র্যাগিং বিতর্ক, পড়ুয়া-বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন অধ্যক্ষকে হুমকি। নতুন অধ্যক্ষকে হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তনের রক্ষী। এর একটি ভিডিয়োও প্রচারিত হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কী ঘটেছে? পুরনো প্রিন্সিপালের অতিরিক্ত সিকিউরিটি আফসার আলি। তাঁর পরিচয় এখানেই শেষ নয় যদিও। তিনি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে হম্বিতম্বি করেছেন। অন্তত ভিডিয়োতে তেমনই দেখা/শোনা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কীসের জোরে আফসারের এত হম্বিতম্বি? তাঁর নামে অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আর জি করের পুরনো অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-পন্থী পড়ুয়ারা নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও ভাবেই কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ঢুকতে দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে জল অনেকদূর গড়ায়। এবার পুরনো অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি আফসার আলির বিরুদ্ধে আর জি করের নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আফসার আলির বিরুদ্ধে রোগী পরিষেবা থমকে দেওয়ার হুমকির অভিযোগও উঠেছে। নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায় আফসার আলির নামে অভিযোগ জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্যভবনে। প্রসঙ্গত, আফসার আলির বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতিরও।
রাজ্য বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচাৰ্যকে আর জি কর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছে। উন্নয়ন আটকে আছে হাসপাতালের সামনে নীল-সাদা গেটে। দুই চিকিৎসকনেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চিকিৎসকদের ভোট ব্যালটলুট আমরা দেখলাম। প্রতিহিংসামূলক বদলি দেখা গেল। দুর্নীতি দেখা গেল। পোস্ট গ্রাজুয়েশনে প্রকাশ্যে নকল করতে দেখা গেল উপাচার্যের উপস্থিতিতে। সবই তো চলছে এখানে। আর হুমকি তো হবেই। তৃণমূল সরকারটাই হুমকির উপরে চলছে। পঞ্চায়েতেও হুমকি, হাসপাতালেও হুমকি। এদিকে ডেঙ্গির জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই, ডেঙ্গি প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রতিনিয়ত মানুষ কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। জেলা হাসপাতালগুলিতে জীবনদায়ী ওষুধ নেই।