দেড় শতাধিক গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ রাজগঞ্জের মেনঘোড়া পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে

প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাহকের লক্ষ লক্ষ টাকা জমা না করে আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠল পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেনঘোড়া পোস্ট অফিসের ঘটনা। দুই মাস আগে অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টার নূর ইসলাম আত্মহত্যা করে বলে দাবি। এদিকে পোস্ট অফিসের পাস বই টাকা না থাকায় বুধবার জলপাইগুড়ির বড় পোস্ট অফিসের দ্বারস্থ হলেন গ্রাহকরা।
পোস্ট অফিসের আধিকারিককে অভিযোগ জানান তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন পোস্ট অফিসের আধিকারিকরা।

আট বছর থেকে মান্তাদাড়ি’র মেনঘোড়া পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন নূর ইসলাস। তিনি মগড়াডাঙি এলাকার বাসিন্দা। গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকে গ্রাহকরা পোস্ট অফিসে টাকা জমা করতেন। পোস্ট মাস্টার কাগজে লিখে সেই চিরকুট গ্রাহকদের দিয়ে দিতেন। শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের পাস বই আপডেট করার অজুহাত দেখিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতেন পোস্ট মাস্টার। মেনঘোড়া পোস্ট অফিসে কম্পিউটার না থাকায় পাস বই আপডেট করা যায় না বলে জানালেন পোস্ট মাস্টার। আমবাড়ি পোস্ট অফিস থেকে পাসবই আপডেট করার কথা বলে বার বার গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। গ্রাহকদের আরও অভিযোগ, পোস্ট অফিসের টাকা নিয়ে আইপিএল জুয়ো খেলতেন ওই পোস্ট মাস্টার। এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণে জড়িয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে দুই মাস আগে। আত্মহত্যার পরেই গ্রাহকরা বুঝতে পারেন তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা নেই বলে জানান বিজয়া রায় সরকার। তিনি বলেন, “পোস্ট মাস্টার তৃণমূল নেতার ছেলে।”

আরও এক গ্রাহক অঞ্জলি ওরাও বলেন, আমার পাস বইয়ে টাকা ছিল। পাস বই পোস্ট মাস্টারের কাছে ছিল। আমবাড়ি পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখলাম মে ও অক্টবর মাসে টাকা তোলা হয়েছে। আমি টাকা তুলিনি। এখন শুনলাম আইপিএল খেলতো।”

রাজগঞ্জের বিজেপি সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, “গরিব মানুষের টাকা জমা করেনি পোস্ট মাস্টার। বাবা তৃণমূল নেতা সেই প্রভাব খাটিয়ে টাকা তুলেছিল। আমরা বড় পোস্ট অফিসে এসেছি।”

পোস্ট অফিসের এএসপি নিলাদ্রী বসাক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.