আরএসএস প্রচারক এবং কেরল বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি মুকুন্দন পরলোক গমন করেছেন

আরএসএস প্রচারক এবং কেরল বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি মুকুন্দন পরলোক গমন করেছেন

প্রবীণ আরএসএস প্রচারক এবং কেরলের প্রাক্তন বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক পিপি মুকুন্দন পরলোক গমন করেছেন। ১৩ বছর ব
বয়সে তিনি স্বয়ংসেবক হিসাবে সংঘে যোগ দিয়েছিলেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর, তিনি একজন ‘প্রচারক’ হিসাবে বেরিয়ে পরেন। সঙ্ঘে জেলা প্রচারক, বিভাগ প্রচারক এবং কেরালা প্রান্থ যোগাযোগ প্রধান হিসাবে পিপি মুকুন্দন কাজ করেছেন। পরবর্তীতে, তাকে বিজেপিতে দায়িত্ব পালনের জন্যে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি এক দশক ধরে দলের রাজ্য সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তারপর কেরালা এবং তামিলনাড়ু নিয়ে গঠিত দক্ষিণ অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তিনি খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে খাতায় কলম্বমে অবসর নেন। তবুও কেরালার বিজেপি নেতা-কর্মীদের জন্য অভিভাবক হিসাবে কাজ চালিয়ে গেছেন। জরুরী অবস্থার সময়ে ২১ মাস ধরে তাঁকে জেলে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।

সাংগঠনিক কর্মজীবনে তিনি সাংগঠনিক বিষয়ে এবং জনসংযোগে তার অতুলনীয় দক্ষতা দেখিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন চিন্তাধারার লোকজনও তাকে শ্রদ্ধা করত এবং ভালোবেসে মুকুন্দেত্তন বলে ডাকত। মালয়ালম ভাষায় Ettan মানে বড় ভাই। কেরালার মুখ্যমন্ত্রীরাও তাকে মুকুন্দেত্তন বলে ডাকতেন।

আর্থিক সংকট এবং অন্যান্য সমস্যার জটিল সময়ে তিনি জন্মভূমি মালায়ালম দৈনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন। দলীয় ও ধর্মীয় সীমারেখা পেরিয়ে রাজ্যের জনগণ ও নেতাদের সাথে তার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। ১৯৯১ সালে ডঃ মুরলীমনোহর যোশীজির কন্যাকুমারী-জম্মু যাত্রা সংগঠিত করার তিনি ক্ষেত্রে অসাধারণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই যাত্রার ম্যান-ইন-চার্জ ছিলেন। মুকুন্দেত্তন যখন কেরালা রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, তখন নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাট সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে মোদী যখন জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন তখন মুকুন্দেত্তন হলেন বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য। উভয়ের মধ্যে চমৎকার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো।

সংঘের দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি রাজ্যে ঈর্ষণীয় কাজ করেছিলেন। তরুণ কর্মীদের তৈরি করা এবং শীর্ষ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের বিকাশের দক্ষতায় তিনি অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতা এবং বেশ কয়েকজন সংঘ কর্মীকে তিনি নিজের হাতে গড়ে তোলেন। রাজ্যের সঙ্ঘ ও বিজেপি পরিবারে তিনি ছিলেন দায়িত্ববান অভিভাবক এর মতো।

সৌভিক দত্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.