৩৭০ ধারা কাশ্মীরে একটা দেওয়াল খাড়া করে রেখেছিল, এতদিনে ভেঙে গেল : মোদী

বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে গেল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এতদিনে জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে। সেখানে কায়েমি স্বার্থে সরকার গড়া হত এবং ভেঙে দেওয়া হত। এবার সেসব বন্ধ হবে।”

গুজরাতের কেভাদিয়াতে এদিন সর্দার বল্লভভাই পটেলের ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন মোদী। সেখানে তিনি বলেন, “আজ জম্মু-কাশ্মীর নতুন ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা শুরু করল। যাত্রা শুরুর জন্য সর্দার পটেলের জন্মদিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।” বল্লভভাই পটেলের জন্মদিনটি দেশ জুড়ে ‘জাতীয় সংহতি দিবস’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। মোদী বলেন, “৩৭০ ধারার জন্যই কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে। গত তিন দশকে সেখানে ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। বহু মায়ের কোল খালি হয়েছে। কাশ্মীর দেশের একমাত্র জায়গা যেখানে ৩৭০ ধারা জারি ছিল। এখন সেই দেওয়াল ভেঙে গেল।”

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সর্দার পটেলের স্বপ্নপূরণ হবে জম্মু-কাশ্মীরে। তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সরকার সারা দেশের আবেগগত, অর্থনৈতিক ও সাংবিধানিক ঐক্যের ওপরে জোর দিয়েছে। পরে তিনি বলেন, সর্দার পটেলকে যদি জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্ব দেওয়া হত, একটা সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি হত না। তাঁর কথায়, “সর্দার পটেল সতর্ক করে বলেছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করাই একমাত্র সমাধান। আমি সংসদের সিদ্ধান্তকে সর্দার পটেলের উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।”

গত সপ্তাহেই জম্মু-কাশ্মীরে ব্লক ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের ভোট হয়েছে। মোদী বলেন, “৩৭০ ধারার অজুহাত দিয়ে এতদিন কাশ্মীরে ভোট করা হয়নি। সম্প্রতি ওই ভোট হয়েছে। ৯৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন।”

উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় ওই অঞ্চলের সঙ্গে বাকি ভারতের অবিশ্বাসের সম্পর্ক ছিল। সেই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। পরোক্ষে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে পারবে না। সেকথা তারাও বোঝে। তাই তারা আমাদের দেশের ঐক্য ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.