মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তার পাশে থাকা ফাস্টফুডের স্টলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। আশঙ্কাজনক আরও দুই৷ ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের কলেজ স্কোয়ারে৷
স্থানীয়রা অনেক পরে বুঝতে পেরে বাঁশ দিয়ে তাদের সরিয়ে উদ্ধার করে ভর্তি করে মেদিনীপুর হাসপাতালে৷ ঘটনার পর এসে তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের৷ মেদিনীপুর শহরের ফুটপাথে থাকা সমস্ত দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে বিদ্যুত দফতর৷
মঙ্গলবার বেলা ১টা নাগাদ পথ চলতি লোকজন দেখতে পায় মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারের রাস্তার পাশে থাকা বহুল পরিচিত ফাস্টফুডের দোকানের তিন কর্মী দোকানের দুদিকে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে৷ দুজনের মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে৷ কৌতুহলিরা অস্বাভাবিক কিছু হয়েছে বুঝতে পেরে ভিড় শুরু করে৷ কিন্তু উদ্ধার করার সাহস পায়নি৷ অনেক চেষ্টা করে বুঝতে পেরে বাঁশ দিয়ে তাদের সরিয়ে এনে উদ্ধার করা হয়৷ দ্রুত তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তিনজন কর্মীর বয়স ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে৷ অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ মৃত যুবকের নাম আশিষ সাউ(২৮), আহত দু’জন হলেন সমীর মাঝি ও প্রবীর দাস৷
অন্যদিকে ততক্ষনে সেখানে হাজির হয় দমকল, বিদ্যুৎ দফতর, মেদিনীপুর পৌরসভার আধিকারিক ও কতোয়ালী থানার পুলিশ৷ বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে পুরো দোকানটিকে নিরাপদ করা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুত দফতরের স্টেশন ম্যানেজার সরেশ ঘরামী। তিনি বলেন, “ওনারা লাইনটি সামনে কোথাও থেকে নিয়েছিলেন৷ লাইট লাগাতে গিয়ে পুরো দোকানটির স্পর্শে এই কান্ড ঘটেছে ৷ আমরা আপাতত সমস্ত লাইন ছিন্ন করছি ৷”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হ কতোয়ালি পুলিশের আইসি ও পৌরসপ্রধান। তারা কড়া ব্যাবস্থা নেওয় শুরু করেন ৷
পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, আমরা কিভাবে ফুটপাতে এই লাইন সংযোগ হয়েছিল তা ক্ষতিয়ে দেখছি ৷ এমন যতো অবৈধ সংযোগ রয়েছে মেদিনীপুর শহরের ফুটপাথে সবটাই ছিন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছি৷ না হলে বিদ্যুত দফতরের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবো।”
এদিনের এই তৎপরতায় মেদিনীপুর শহরে থাকা সমস্ত ফুটপাতের দোকানে বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন করেছে বিদ্যুত দফতর ৷