পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের ‘রত্নভাণ্ডার’ ঘিরে রয়েছে রহস্য। আর সেই রহস্যের সমাধানে নেমেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বছরও শেষ চেষ্টা হয়েছিল। তখন মন্দিরের গোপন সাতটি কক্ষের মধ্যে তিনটি খোলা সম্ভব হলেও বাকি চারটিতে হয়নি। কারণ, বাকি চারটি কক্ষের চাবিই পাওয়া যায়নি। ফলে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারে যুগ যুগ ধরে সঞ্চিত মণিমুক্তো, হীরে জহরত কত আছে, তার সঠিক হিসেব এখনও অজানাই রয়ে গিয়েছে। আর মঙ্গলবার সরকারিভাবে এই রত্নভাণ্ডার খোলার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক প্রদীপ্ত কুমার নায়েক।
ওড়িশা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হলেন প্রদীপ্ত কুমার নায়েক ৷ তিনি এই রত্নভাণ্ডারের ইস্যুতে সারা বিশ্বের মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথের ভক্তরা উদ্বিগ্ন বলে মনে করেন।
এই রত্নভাণ্ডারের মূল্যবান সম্পদের সুরক্ষা নিয়ে সকলে চিন্তিত। তাই তিনি মনে করেন, রাজ্য সরকারের এব্যাপারে পদক্ষেপ করা উচিত। অবিলম্বে খুলে দেওয়া দরকার রত্নভাণ্ডার যাতে সেখানে মজুত সম্পদের অডিট করা যায়।
পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন, অবিলম্বে অডিট করে সকলকে আশ্বস্ত করতে যে ভগবানের সম্পদ সুরক্ষিত আছে। ১৯৭৮ সালে তৈরি করা তালিকার সঙ্গে সম্পদের হিসেবের যেন মিল থাকে ৷ এক্ষেত্রে যদি কোনও গাফিলতি ধরা পড়ে, তখন তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব বলে জানান। ৪০ বছর আগের হিসেব অনুসারে, শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে ১২০ কেজির বেশি সোনা এবং ২২১ কেজির বেশি রুপোর গয়না ইত্যাদি রয়েছে।
বিধায়ক প্রদীপ্ত নায়েক ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন, রত্নভাণ্ডারের চারটি কক্ষের চাবি হারানোর বিষয়টি ১৬ মাস আগে প্রকাশ্যে আসে তবে একনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপই করেনি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, প্রভু জগন্নাথের সম্পদ নিয়ে এই সরকার চিন্তিত কি না? যা দেখে গোটা ব্যাপারটাই তাঁর কাছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক মনে হয়েছে। রত্নভাণ্ডারের চাবি হারানো নিয়ে একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠিত হলেও উল্লেখযোগ্য কিছুই হয়নি।