তিনি আগে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ছিলেন, এখন তিনি ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। কিন্তু এই তরুণী হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার পর থেকেই তাকে নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার দাবি, হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলেই তার জীবন এখন ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে। এমনকি প্রাণে বাঁচতে তিনি একটি বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই ঘটনায় তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাশর্মা। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশের ডিজি জিপি সিংকে উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, তদন্ত করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। হেনস্থার শিকার ওই চিকিৎসকের নাম আলিমা আখতার। তার বাড়ি ডিব্রুগড় জেলায়।
ওই চিকিৎসকের বক্তব্যের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাকে বলতে শোনা গেছে, তিনি নিজের ইচ্ছেতেই হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আর তারপর থেকেই তার পরিবার ও জামাতের তরফে নানা রকম হুমকি পাচ্ছেন তিনি। ভিডিওটিতে চিকিৎসক দাবি করেছেন, তার পরিবার একজন মৌলবীর সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। চিকিৎসক বলেছেন এখনই তার কোনো ভাবেই বিয়ে করার ইচ্ছে নেই। ভিডিওতে ওই তরুণী বলছেন, “নিজের ইচ্ছেতেই আমি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছি। তারপর থেকে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করে থানায় মিথ্যে মামলা করা হয়েছে যাতে পুলিশ আমাকে তাদের হাতে সহজেই তুলে দেয়।”
তিনি জানান, প্রাণভয়ে তিনি একটি বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তিনি সুস্থ আছেন। চিকিৎসক বলেছেন এক মৌলানার সঙ্গে জোর করে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার পরিবার। ওই মৌলানা তার থেকে বয়সে অনেকটাই বড়। এইসব কারণেই তিনি পরিবারের থেকে নিজে দূরত্ব তৈরি করেছেন। পরিবারের ধারণা তার মৌলানার সঙ্গে বিয়ে দিলে তবেই তিনি জন্নাত লাভ করবেন। ওই চিকিৎসক ডিব্রুগড় অসম মেডিকেল কলেজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি জানান, তিনি তার জীবন নিয়ে যথেষ্ট খুশি এবং শান্তিতে থাকতে তিনি পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চান।