নৌবিদ্রোহের বিস্মৃত বাঙালি শহীদ মানকুমার বসু ঠাকুরের জন্মদিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম

???????????????? নৌবিদ্রোহের বিস্মৃত বাঙালি শহীদ মানকুমার বসু ঠাকুরের জন্মদিবসে সশ্রদ্ধ প্রণাম । বাঙালি কি আজ মনে রেখেছে তাঁকে? ????????????????

শিক্ষা –
তার পিতা ভূপতিমোহন এবং মাতা হেমপ্রভা। মানকুমার বসুঠাকুরের আদি নিবাস ঢাকা মালখানগার। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল থেকে ১৯৩৭ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ঢাকা জগন্নাথ কলেজে পড়ার সময় রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। পরিবারের অমতে কলেজ ছেড়ে ব্রিটিশ নৌ-বাহিনীতে যোগ তিনি। ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর ১৩ টি বিভাগীয় পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকার করেছিলেন।

বিদ্রোহে যোগ –
১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ‘দিল্লী চলো’ আহবানে সৈন্যশিবিরে দেশীয় সিপাইদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। আজাদ হিন্দ বাহিনীর গোপন বিভাগের সাথে যোগাযোগ হলে দেশী সিপাইদের মধ্যে বিদ্রোহের চেতনা জাগিয়ে তোলেন মানকুমার। তারই নেতৃত্বে গোলন্দাজ বাহিনীর সৈন্যরা সঞ্চিত গোলাবারুদ গোপনে সমুদ্রে ফেলে দিতে থাকে। ইংরেজ ও দেশী সৈন্যদের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব ও আনুষঙ্গিক নানা অব্যবস্থার প্রতি অসন্তোষ ধ্বনিত হয়। চতুর্থ মাদ্রাজ উপকূল বাহিনীর মধ্যে বিদ্রোহের বীজ আছে এই অভিযোগে ১৮ এপ্রিল ১৯৪৩ তারিখে সামরিক পুলিশ মানকুমার সহ বারো জনকে গ্রেপ্তার করে।

বিচার –
যুদ্ধে বাধাসৃষ্টি, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে প্ররোচনা ও বিদ্রোহের অপরাধে ৫ আগস্ট ১৯৪৩ মানকুমার বসুঠাকুর ও আরো ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। তারা হলেন কালীপদ আইচ, চিত্তরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, দুর্গাদাস রায়চৌধুরী, নন্দকুমার দে, নিরঞ্জন বড়ুয়া, নীরেন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় এবং ফণিভূষণ চক্রবর্তী। বাকি তিনজনের মধ্যে আবদুল রহমান ও রবীন্দনাথ ঘোষের দ্বীপান্তর এবং অনিলকুমার দে’র সাত বছর কারাদন্ড হয়েছিল।

ফাঁসি –
২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ মানকুমার ও বাকি সাথীরা ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিয়ে মাদ্রাজ দুর্গে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র – Wikipedia

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.