৩, ২, ১…। চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩ নামার আগে প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছিল দেশ। ভারতের এই তৃতীয় চন্দ্রাভিযানের দিকে নজর ছিল সারা বিশ্বেরও। গত ২৩ অগস্ট সন্ধ্যার সেই রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে যাঁর কন্ঠে চন্দ্রযানের অবতরণ সংক্রান্ত সমস্ত খবর মিলছিল, সেই ঘোষিকা তথা ইসরোর বিজ্ঞানী এন ভালারমতি প্রয়াত হলেন। শনিবার সন্ধ্যায় চেন্নাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ২৩ অগস্ট ল্যান্ডার বিক্রমের গতি কমানো থেকে পাখির পালকের মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ (সফ্ট ল্যান্ডিং)— চন্দ্রযানের যাবতীয় গতিবিধি এক নাগাড়ে গোটা বিশ্বকে জানিয়ে চর্চার কেন্দ্রস্থলে ছিলেন ভালারমতি।
প্রয়াত বিজ্ঞানীর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ভালারমতির মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর পিভি বেঙ্কটাকৃষ্ণন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “শ্রীহরিকোটায় ইসরোর পরবর্তী মিশনগুলির কাউন্টডাউন যখন চলবে, সেই সময় ভালারমতি ম্যাডামের কণ্ঠ আর শোনা যাবে না। খুবই দুঃখিত। প্রণাম।”
১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে ভালারমতির জন্ম। ১৯৮৪ সালে তিনি ইসরোয় যোগ দেন। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম রেডার স্যাটেলাইট (রিস) ২০১২ সালে সফল ভাবে উপগ্রহে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই অভিযানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ভালারমতি। এ ছাড়াও ইসরোর একাধিক অভিযানে ধারাভাষ্য দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিজ্ঞান এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছিল।