রাজস্থানে ২১ বছর বয়সী এক আদিবাসী যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও পোস্ট করে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীদের বিঁধেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর প্রশ্ন মণিপুর নিয়ে তৃণমূল সহ বিরোধীরা এতো সরব হয়েছিলেন কিন্তু কেন এক্ষেত্রে নীরবতা পালন করছেন?
ঘটনার যে ভিডিও সুকান্ত মজুমদার পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে একজন পুরুষ জোর করে ক্যামেরার সামনে এক যুবতীকে বিবস্ত্র করছে। সেখানে আরো বেশ কয়েকজনের উপস্থিতি বোঝা যাচ্ছে। এরপর ওই যুবতীকে বিবস্ত্র অবস্থাতেই গ্রামে ঘোরানো হয়। এতে সুকান্তর প্রশ্ন মণিপুরের এই একই ধরনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা চুড়ান্ত সরব হয়েছিলেন। এমনকি সেখানে প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছিলেন। তাহলে রাজস্থানের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা কেন চুপ?
সুকান্ত অভিযোগের সুরে লিখেছেন, “বিগত পাঁচ বছরে রাজস্থানে মহিলাদের উপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এই দৃশ্য সেই অত্যাচারের ঘটনাগুলির একটি মাত্র। মমতা ব্যানার্জি, রাহুল গান্ধী, সিতারাম ইয়েচুরির আজ চুপ কেন? অপেক্ষা করছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যে ঘটেনি বলে?”
বিজেপির মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, রাজস্থান আবারো লজ্জিত হলো।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তে তদন্তকারীদের মোট ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেফতার করার জন্য। প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপার অমিত কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতা যুবতীর স্বামী সহ তিনজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে। অভিযুক্ত স্বামী ও তার সঙ্গীরা পুলিশকে দেখে পালানোর চেষ্টা করলে সেই সময় চোট পায়, ফলে আপাতত তাদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতীর অন্য একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল, সেই কারণেই তাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনাটি ঘটে। এই প্রসঙ্গে ডিজিপি উমেশ মিত্র জানান, ওই যুবতী অন্য এক পুরুষের সঙ্গে থাকছিল অন্য এক গ্রামে। প্রতাপগড়ের সেই গ্রামে গিয়ে সেই যুবতীকে অপহরণ করে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এরপর যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়।
এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, প্রতাপগড় জেলায় এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা গেছে যুবতীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই সমাজে কোনো স্থান নেই। অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব জেলে ভরা হবে। তিনি আরো বলেছেন, “আমি পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে বলেছি ও কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছি।